ঢাকা: নিজেদের মেধা, শ্রম কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ স্বনির্ভর হবে, কারো কাছে ভিক্ষা চাইবো না। আমরা নিজস্ব শ্রম ও মেধা দিয়ে এগিয়ে যাবো।
বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে রাখতে হবে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করে জয়লাভ করা জাতি। আমরা কারো কাছে হাত পাতব কেন? আমরা নিজেদের শ্রম-মেধা দিয়ে কাজ করে যাব। এ জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমাদের বলেছিল- কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া যাবে না। কারো কাছে অর্থ চেয়ে না, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে কৃষকদের ভর্তুকি দিতে শুরু করি। দেশে বহু বর্গাচাষী আছে, যারা বর্গা চাষ করে তারা কীভাবে উৎপাদন করবেন। সেজন্য তারা কোনো ঋণ পেত না। কারণ তারা কোনো জামানত রাখতে পারতো না। প্রথমবার আমরা সরকারে এসে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে অল্প সুদে বর্গাচাষিদের জন্য কৃষিঋণ দিতে শুরু করি। আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক তৈরি করি। যেন যুবসমাজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। তাদেরও বিনা জামানতে ঋণ দেয়া শুরু করি। একটা ছেলে বেকার থাকবে কেন? এই ঋণ নিয়ে সে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে সেজন্য আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা সেই ১৯৭৩ সালে মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেন। গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজনন শুরু করা হয় সে সময়। এছাড়াও গবেষণার মাধ্যমে জাত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়।’
খাঁটি দুধের নানা প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক মুসলিম দেশ আছে যারা অন্যান্য দেশ থেকে হালাল মাংস কেনে। বাংলাদেশ তার বিপুল পরিমাণ চরাঞ্চল ব্যবহার করে গরু-মহিষের খামার তৈরি করে এই মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রটিকে কাজে লাগাতে পারে।’
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য এখন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি কাজ করে যাই তবে দেশের উন্নয়ন করতে পারবোই। ইতোমধ্যে মাছের উৎপাদন বাড়িয়েছি, জয় করা বিশাল সমুদ্রসীমাকেও কাজে লাগাতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।’