অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরসহ সর্বত্র শীত মৌসুমের শুরুতেই পিঠা ব্যবসায়ীদের পিঠা বিক্রির হিড়িক পরেছে। উপজেলার বিভিন্ন লোকালয়ে চলছে পিঠা বিক্রির হিড়িক। এ ব্যবসায় অনেকেই ভাল আয় করছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানায়। এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগেনা। জ্বালানী হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি, কিছু গুড়, নারকেল ও চাউলের গুড়া দিয়ে শুরু করা হয় এ ব্যবসা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিশেষ করে সাপ্তাহিক হাট-বাজারগুলোতে শীত মৌসুমে জমজমাট ভাপা ও চিতই পিঠার ব্যবসা শুরু হয়। ক্রেতাদের সংখ্যা চোখে পরার মত। এ ব্যবসা চলে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। পিঠা বিক্রি জমে উঠে সন্ধ্যার পর থেকে। সন্ধ্যায় পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। সমাজের সকল শ্রেণীর লোকেই পিঠা খেতে যায়। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খায়। আবার অনেকে বাড়ির জন্য কাগজে করে নিয়ে যায় বলে উপজেলায় এসব পিঠা। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী ধুপি পিঠা ছাড়াও চিতই বানিয়েও বিক্রি করে। আবার চিতই পিঠার সাথে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করে। এসব পিঠার এক একটির দাম নেয়া হয় ৫ থেকে ১০টাকা। পিঠা তৈরীর বেশির ভাগ দোকানের ব্যবসায়ী হয় মহিলা। পাশাপাশি পুরুষরাও তৈরি করে এ পিঠা। আগৈলঝাড়া বাজারে পিঠা বিক্রেতা নুরজাহান বেগম জানান, প্রতিবছর শীত এলেই আমরা পিঠা বিক্রি শুরু করি। শীতের প্রকোপ যত বেশী থাকে পিঠা বিক্রিও তত বেড়ে যায়। গৈলা বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল ঘরামী জানান, প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করি। যে পিঠায় গুড় ও নারকেল দেয়া হয় সেসব পিঠার ক্রেতাও বেশী। শীতের হিমেল হাওয়ার তীব্রতা যতই বেশী বাড়ছে পিঠার বিক্রি ততই বেড়ে যায়।