ঢাকা: অর্থপাচারের মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে করা অপিলের শুনানি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ বিষয়টি তারেক রহমানকে জানাতে একটি নোটিশ আকারে বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতেও আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এ সময় দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ০৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানিয়েছিলো দুদক।
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে সমন জারির নোটিশ পাঠাতে বলেছেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০০২ এর ২ (ঠ), (অ), (আ) ও ১৩ ধারায় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন দুদকের দায়ের করা মামলার রায়টি দিয়েছিলেন। মামলা দায়ের থেকে রায় পর্যন্ত পুরো বিচার প্রক্রিয়ায়ই তারেক রহমান অনুপস্থিত ছিলেন। খালাসপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। মামুনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।