ঢাকা: শিশু পাচার মামলায় মানবাধিকার সংগঠন ‘অদম্য বাংলাদেশ’র ৪ সদস্যকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে রামপুরা থানা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের এ অব্যাহতি প্রদান করেন।
অদম্য বাংলাদেশ’র আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টিজানান।
অব্যাহতি পাওয়া চারজন হলেন- আরিফুর রহমান, জাকিয়া সুলতানা, ফিরোজ আলম খান ও হাসিবুল হাসান।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর ‘সি’ ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ১০ শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় ‘অদম্য বাংলাদেশ’র চার সদস্যকে আটক করা হয়।
১৯ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই (উপপরিদর্শক) মোজাম্মেল হক তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জানা যায়, অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা অভিভাবকহীন, যত্নহীন শিশুদের এখানে নিয়ে আসেন। শিশুরা তাদের মর্জির ভিত্তিতেই এখানে থাকেন। অনেক দানশীল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক কষ্ট করে অনুদান সংগ্রহ করে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালায়।
আরও উল্লেখ করা হয়, এসব শিশুদের উন্নত জীবনের পাশাপাশি শিক্ষা, বিনোদন ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য তাদের দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খেলার ছলে ‘কাগজের ঠোঙা’ বানানো হয়। মোবাইল ফোনে তারা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলতে পারতো। গত ১ বছরে পাচারের জন্য শিশুদের অন্যত্র সরানো হয়েছিল এমন কোনো তথ্য তদন্তে পাওয়া যায়নি।
মামলার ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বললে তারা অকপটে অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভালোকাজের কথা স্বীকার করেছেন মর্মেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
পাচারের জন্য শিশুদের উক্ত বাসায় আটক রাখা হয়েছে এমন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলার বাদী মনির হোসেন মামলাটি করেন। আর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জনরোষ এড়াতে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে বাদীর অভিযোগ পেয়ে তাদের নামে মামলা করা হয়।