সন্তান সম্ভবা টিউলিপ সিদ্দিককে তিরস্কার করায় যুক্তরাজ্য সংসদের ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে। টিউলিপ সিদ্দিককে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়ালেন বৃটেনের হাউজ অফ কমন্সের ডেপুটি স্পিকার ইলিনর লাইং।
সংসদে বিতর্ক চলাকালে অনুমতি ছাড়া দুপুরের খাবার খেতে যাওয়ায় কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত নারী ডেপুটি স্পিকার এলিনর লাইং টিউলিপকে তিরস্কার করে বলেন,‘আমাকে গর্ভবতী হওয়ার অজুহাত দেখাবেন না’। শুধু এটা বলেই ক্ষান্ত হননি স্পিকার এলিনর, টিউলিপ ‘গর্ভবতী’ হওয়ার ছুতো ব্যবহার করে সব নারীকে ছোট করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি!
একজন নারী
ডেপুটি স্পিকারের এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক এমপি। বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত বলে টিউলিপকে বোঝান তারা। অথচ কোনো অভিযোগ না জানিয়ে উল্টো সৌজন্য বজায় রেখে খেতে যাওয়ার জন্য এলিনরের কাছে ক্ষমা চান বঙ্গবন্ধুর নাতনী ও শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।
ওই ঘটনার আগে তখনও টিউলিপ ডেপুটি স্পিকারকে বলেননি যে, তিনি প্রেগনেন্ট বলেই খেতে গিয়েছেন। টিউলিপ সিদ্দিক ওই রুঢ় আচরণের জবাবে বেশ শান্ত ভাবে বলেন, ‘হাউজ অব কমন্সের এ ধরনের রেওয়াজ যে আধুনিক যুগের সবার জন্যই বেমানান, সেটাই দেখলাম। আর সন্তান সম্ভবা নারী কিংবা অন্যান্য বিশেষ অবস্থার বেলায় এই রেওয়াজের অসাড়তা বলার অপেক্ষাই রাখে না। এমন অনেক জরুরি মুহূর্ত থাকে যখন প্রশাসনিক অনুমতি নেয়ার সময়-সুযোগ থাকে না। এ ধরনের জরুরি ব্যাপারগুলো বুঝতে হলে কমনসেন্স থাকাই যথেষ্ট’।
বুধবার নিজের বক্তৃতা শেষে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান এমপি টিউলিপ। এর পরেই ইলিনর জানান, কোনও এমপি নিজের বক্তৃতার শেষে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন না। নিয়মমতো তাকে পরবর্তী এক বা দুজনের বক্তৃতা অবশ্যই শুনতে হবে।
টিউলিপ ফিরে আসার পরে ইলিনর তাকে বলেন, সাধারণ মানুষ ভাববেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় একজন মহিলা হাউজের কাজকর্ম ঠিকভাবে করতে পারেন না। এটা ঠিক নয়। ডেপুটি স্পিকারের কথায়, টিউলিপ মহিলাদের অপমান করেছেন।
গোটা ঘটনায় মর্মাহত টিউলিপ। তিনি বলেন, অন্তঃসত্ত্বাদের নিজেদের মতো থাকতে দেয়া উচিত। সেদিন পার্লামেন্ট কক্ষে হাজির অনেকেই টিউলিপকে সমর্থন করেছেন।