কারো পিঠে ব্যাগ, হাতে পাতিলের বস্তা, আবার কারো মাথায় কম্বল, হাতে কেরোসিনের চুলা। মুখে আল্লাহর নাম। দলে দলে সবাই ছুটছেন ইজতেমা ময়দানের দিকে।
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান পর্যন্ত সড়কের পাশে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) শুরু হওয়া মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার (৫১ তম) প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে রোববার (১০ জানুয়ারি)। আখেরী মোনাজাতে অংশ নিবে কয়েক লাখ মুসল্লি।
বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তুরাগ তীরে অবস্থান করলেও পুরোদমে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়েছে বুধবার (৬ জানুয়ারি) থেকে।
শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টায় এমনটাই বললেন, ইজতেমা ময়দানের ৭ নম্বর গেটের জুড়নেওয়ালী (নিরাপত্তাকর্মী) সেলিম আহমেদ।
কিশোরগঞ্জের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সেলিম আহমেদ এসেছেন বুধবার। আসার পর থেকে প্রতিদিনই ধারাবাহিক ভাবে দুই ঘণ্টা পর পর জুড়নেওয়ালীর দায়িত্ব পালন করছে। শুক্রবার সকাল থেকেই মুসল্লিদের আগমন বেড়েছে। রাত ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি এ গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করেছেন।
৪ নম্বর গেটের জুড়নেওয়ালী সিরাগঞ্জের সুজন শেখ বলেন, দিনের তুলনায় রাতে মুসল্লিদের আগমন কম। তবে গত দুই রাতের তুলনায় আজ রাতে অনেক বেশি মুসল্লি আসছেন।
৭ নম্বর গেটে দায়িত্ব পালন করছেন টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় শুক্রবার রাতে মুসল্লিদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে পুলিশের টহলও বাড়ানো হয়েছে।
ইজতেমা মাঠে কথা হয় মাদারীপুরের রবিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন আগত মুসল্লিরা। শুক্রবার সকাল থেকেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় ইজতেমা মাঠ। মধ্যরাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন মুসল্লিরা।
মধ্যরাতে ইজতেমার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মুসল্লিরা প্রয়োজনীয় নানান কাজের পাশাপাশি নফল ইবাদত-বন্দেগি, তালিম, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারে সময় কাটাচ্ছেন। আবার অনেকে ঘুমিয়েও পড়েছেন।