মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে যান চলাচল ও পার্কিয়ের বিষয়ে মুসল্লিদের কিছু নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
দুই পর্বে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমায় আগত দেশের সাত বিভাগের মুসল্লিদের যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যান চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যানবাহন পার্কিংয়ে নির্দেশনা: ঢাকা বিভাগের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ী খালপাড় পর্যন্ত এলাকা এবং চট্টগ্রামের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নম্বর সেক্টর রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত হয়ে গরীবে নেওয়াজ রোড) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া সিলেটের জন্য উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের শাহমখদুম এডিনিউ, খুলনার জন্য উত্তরার ১৫ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা, রংপুরের জন্য কামারপাড়া সংলগ্ন মাঠ ও উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা, রাজশাহীর জন্য প্রত্যাশা হাউজিং এলাকা এবং বরিশালের জন্য ধওর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের খালি জায়গা এবং ১৫ নম্বর ও ১৮ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যান চলাচলে নির্দেশনা: আব্দুল্লাহপুর আশুলিয়া রোডের ওপর কোনও যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। আখেরি মোনাজাতের পূর্ব রাতে আশুলিয়া থেকে আসা যানবাহন ধওর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় স্মরণী-গাবতলী দিয়ে।
এছাড়া কাকলী, মিরপুর থেকে আসা যানবাহন বিমানবন্দরের দিকে না গিয়ে কুড়িল বিশ্বরোডে ইউটার্ন করে বা ডানে মোড় নিয়ে প্রগতি স্মরণী দিয়ে চলাচল করবে। প্রগতি স্মরণী থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহন চলাচল করবে বিশ্বরোড ক্রসিংয়ে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার দিয়ে কাকলী-মহাখালী রোড ও মিরপুর ফ্লাইওভারে।
বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দু’টি বড় মাইক্রাবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে ভোর ৬টা থেকে প্রস্তুত থাকবে।
তাছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যে কোনও প্রয়োজনে উত্তরা ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জিন্নাত আলী মোল্লা (০১৭১৩৩৯৮৪৯৮) ও টিআই মাহফুজার রহমানের (০১৭১১৩৬৬৫৬১) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রথম পর্বের ইজতেমা ৮ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে।