ঢাকা: রবীন্দ্রনাথের আবেদন যেন কখনোই ফুরোবার নয়। যুগে যুগে নানা ঢঙে তার অমর সৃষ্টি গানগুলো গেয়ে আসা হচ্ছে। তার কাছে যাওয়া মানেই যেন একটু প্রশান্তি। তাকে গাইবার শখ কার না আছে! হালের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শি। সম্প্রতি তারও ইচ্ছে হলো রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবার। গাইলেন ‘আমারও পরানো যাহা চায়’। মিউজিক ভিডিওতে সাজলেন রবীন্দ্রনাথের নায়িকা। দীর্ঘদিন ধরেই পড়শী ভক্তরা অপেক্ষা করছিলেন পড়শীর কণ্ঠে জনপ্রিয় এ গানটি শোনার। অবশেষে ঘটা করে আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় ইউটিউবে উন্মুক্ত হলো গানটি। সে সূত্রে পড়শীর মুখোমুখি বাংলামেইল। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আমাদের পাঁচ প্রশ্নের মুখোমুখি পড়শী…
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয়ের শুরুটা কবে?
ছোটবেলা থেকেই আমি আবৃতি শুনতে খুব পছন্দ করতাম। নানু ঘুম পাড়ানো ছড়ার বদলে রবিঠাকুরের কবিতাগুলো মধুর সুরে আবৃত্তি করতেন। আমি বরাবরই মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। ভালো লাগতো খুব। রবিঠাকুরের গান-কবিতার সঙ্গে পরিচয়টা সেই ছোটবেলা থেকেই। তখনই তার লেখার প্রতি টান জন্মে। ছোটবেলার সেই ভালোবাসা আজো অমলিন। এখনো বাসায় একা একা রবীন্দ্রসঙ্গীত গুনগুন করে গাই। প্রেমের গান তো অনেকেই লিখেছেন। কিন্তু তাঁর গানের মধ্যে একটা গভীরতা আছে। আবার দু:খের গানের মধ্যেও আছে গভীরতা।
কেন ‘আমারও পরানো যাহা চায়’?
আগে থেকেই তো রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতাম টুকটাক। কিন্তু এভাবে পরিকল্পনা করে গাওয়া হয়ে উঠেনি কখনো। হঠাৎ করেই গানটা করেছি। রবীন্দ্রনাথের অনেক গান থেকে এই গানটা বেছে নেয়ার কারণ গানটা আম্মু ও ভাইয়ার খুব পছন্দের।
অন্যদের চেয়ে আপনার গানটা আলাদা কেন?
গানটা অনেক সিনিয়র শিল্পীরা গেয়েছেন। আমার গানকে ওনাদের থেকে ভালো বলবোনা। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। একটু অন্যভাবে গেয়েছি। অনেকেই গানটা রিদমের সঙ্গে গেয়েছেন। কিন্তু আমি গেয়েছি অনেকটা স্লো ভার্সনে। পাশাপাশি নিজের মতো করে ভিডিওটা সাজানোর চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি গানের সঙ্গে ভিডিওতে যেন একটা গল্প থাকে। গানের সঙ্গে ভিডিওর কোলাবেরেশন করা হয়েছে।
রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে পরিকল্পনা?
গানটা রিলিজ হোক। দর্শক ও শ্রোতাদের রেসপন্স পাই। তারপর প্ল্যান করবো। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে অবশ্যই কাজ করার ইচ্ছা আছে। ইতিমধ্যে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘ডিটেককটিভ’ সিনেমায় ‘যেতে যেতে একলা পথে’ শিরোনামে রবিন্দ্রসঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছি।
রবীন্দ্রনাথের নায়িকা হওয়ার অনুভূতি
গানে আমার কোন ডায়লগ ছিলনা। তাই কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। শুটিং হয়েছে জমিদার বাড়িতে। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস নিয়ে নির্মিত সিনেমাগুলো দেখেছিলাম। বোঝার চেষ্টা করেছিলাম রবীন্দ্রনাথের নায়িকারা আসলে কেমন? শুটিংয়ে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। শুটিংয়ে মজার কিছু অভিজ্ঞতাও আছে। কয়েকবার দৃশ্যের প্রয়োজনে আমাকে কাঁদতে হয়েছিল। পরিচালক গ্লিসারিন নিতে বললেন। আমি চোখে গ্লিসারিন দিতে ভয় পাচ্ছিলাম। তবে তিনবারই আমি কোনরকম গ্লিসারিন ছাড়াই কেঁদেছিলাম। বিষয়টা আমার কাছে সারপ্রাইজিং লেগেছিল।
পড়শীর কন্ঠে ‘আমারও পরানো যাহা চায়’