সংলাপে সমাধান চান খালেদা

Radio রাজনীতি

Khasm_382015418

 

 

 

 

 

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে  সৃষ্ট   দ্বন্দ্বের  অবসান   ঘটাতে  সরকারের প্রতি সংলাপের  মাধ্যমে একটি  গ্রহণযোগ্য  সমাধানের  পথ বের করার আহ্বান  জানিয়েছেন  বিএনপির চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া।

সরকারকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট   সমম্যার  সমাধান বের করি। আমাদের কারো প্রতি রাগ, ক্রোধ ও বিরোধ নেই। আপনারা যা করেছেন ভুল করেছেন। মনে মনে তা স্বীকার করে নেন।

আলাপ-আলোচনার  মাধ্যমে  সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, দেশের মানুষ চায় আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আমরাও তাই চাই। দেশের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। জনসভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

খালেদা জিয়া ১ ঘণ্টা ১২ মিনিটের বক্তব্য তিনি সিটি-পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপি,  সরকারের   দুর্নীতি, বিরোধী দলের উপর হামলা-মামলা,  নির্যাতন, বিনিয়োগহীনতা, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস, দুঃশাসন,  গুম-খুনের চিত্র তুলে ধরছেন।

বেতন বৈষম্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সহ ২৬ ক্যাডাদের দাবি যৌক্তিক বলে দাবি করে তা মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। জঙ্গিরা বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা চালানোর পরও আওয়ামী লীগ তাদের গ্রেফতার করেনি।

খালেদা  জিয়া বলেন,  জঙ্গিবাদ আওয়ামী লীগের তৈরি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে জঙ্গিদের উত্থানের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অপরদেশে জঙ্গি হামলা করতে এদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায়  গেলে  এদেশের  জঙ্গি  হামলার  জন্য  মাটি  ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

পৌর নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা কেন্দ্র্র দখল করেছে, নিজেরা সিল মেরেছে। এ নির্বাচনের   মাধ্যমে   তারা   দেখাতে   চেয়েছে   তাদের জনপ্রিয়তা। কিন্তু আমি তাদের বলবো, পুলিশ, র‌্যাব এবং ছাত্রলীগ দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই না করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে যাচাই করুন।

খালেদা  বলেন,   পৌর   নির্বাচনে   আমরা   নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম, সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য। কিন্তু সাংবিধানিক ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা মোতায়েন করেনি। আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য যত ব্যবস্থা করার দরকার তারা তা করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *