কঠোর আ. লীগ, নমনীয় বিএনপি

Slider রাজনীতি

 

 

031142Pic-17

 

 

 

 

 

৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই স্থানে সমাবেশের অনুমতি চাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তাপের আঁচ লেগেছে। তবে এবার আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিএনপি। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পেলে তারা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করতে চায়। প্রয়োজনে ৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ৬ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি চাইবে তারা। সেই অনুমতিও না পাওয়া গেলে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভের মধ্যেই কর্মসূচি সীমিত রাখতে চায় দলটি। তবে পৌরসভা নির্বাচনে হেরে কোণঠাসা বিএনপিকে আর রাজপথে নামার সুযোগ দিতে চায় না আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, রাজনীতি আর ভোটের ময়দানসহ নানা ক্ষেত্রে একের পর এক হেরে হতাশ বিএনপি সাংগঠনিকভাবে চরম দুর্দশায় পড়েছে। এখন রাজপথে কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে তাদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বোকামি। সংগঠিত হতে পারলে আবার তারা আগের মতো সহিংসতা চালিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করবে। এ বিবেচনাতেই শেষ পর্যন্ত ৫ জানুয়ারি রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অনুমতি না পেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় দলটি।

একই জায়গায় দুই দলের সমাবেশের ঘোষণার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে কি না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে। পরিস্থিতি ইতিবাচক হলে ডিএমপি কমিশনার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।

আর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নের আশঙ্কা থাকলে পুলিশ কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেবে না। এ বিষয়ে পুলিশের সিদ্ধান্ত আজ সোমবারের মধ্যেই উভয় দলকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তবে ডিএমপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছে, পরস্পরবিরোধী কর্মসূচিতে সংঘাতের আশঙ্কা থাকায় আগামীকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো দলকেই সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপিকে নামার সুযোগ দিতে চায় না আ. লীগ : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, রাজনীতি ও ভোটের মাঠে হেরে কোণঠাসা অবস্থায় আছে বিএনপি। ৫ জানুয়ারি রাজপথে নামতে দিলে তারা সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে বোকামি। কারণ একবার সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপি আবারও সহিংসতা চালিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করবে। এ বিবেচনা থেকেই ৫ জানুয়ারি রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএনপিকে বেকায়দা পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করা আমাদের কাজ নয়। এখন তারা বিপদের মধ্যে আছে বলে আন্দোলনের পথে হাঁটছে না। লাগাতার নাশকতায় তাদের বহু শক্তিক্ষয় হয়েছে। কিন্তু একটু সংগঠিত হতে পারলেই তারা আবার পুরনো পথ ধরবে। এ জন্য আমরা তাদের কোনো সুযোগ দেব না।’

ওই নেতারা বলেন, কোণঠাসা হলেও বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করেননি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁদের উল্টাপাল্টা বক্তব্য থামেনি। মীমাংসিত বিষয়েও তাঁরা বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা বক্তব্য দেন তাঁদের এ দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন তো দূরের কথা রাজনীতি করারও অধিকার থাকা উচিত নয়।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদনের পর কৌশলের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগ একই স্থানে জনসভার অনুমতি চেয়েছে। বিএনপিকে যেন অনুমতি না দেওয়া হয় সে জন্যই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পেলে তার বিকল্পও ঠিক করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, সে ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের জনসভা হবে। তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য আমরা ৩১ ডিসেম্বর পুলিশের কাছ আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ এখনো কিছু জানায়নি। গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউকে সমাবেশ করতে দেবে না। সেই বিবেচনায় আমরা যদি সেখানে অনুমতি না পাই তাহলে বিকল্প হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জনসভা করব। এর বাইরে রাজধানীর ১৮টি স্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ হবে।’ গতকাল রবিবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সফল করতে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচি নিয়ে দুই দল মুখোমুখি হলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘তারা (বিএনপি) কই, কোথায় নামবে? গতবার তারা সংঘাত-সহিংসতা করে সমুচিত জবাব পেয়েছে। এবার এ ধরনের সহিংসতা করলে আরো কঠিন জবাব দেবে জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’

বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘৫ জানুয়ারি ঘিরে বিএনপি যে আন্দোলন-সহিংসতা চালিয়েছে, তাতে দেশের অগ্রগতি থামাতে পারেনি। বরং তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে স্মরণ করাতে এবারও যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, তাতে কোনো লাভ নেই। ২০১৫ সালে ৯৩ দিন অবরোধ দিয়ে কিছুই হয়নি। দেশের অগ্রযাত্রা এতটুকু ব্যাহত হয়নি। সব কিছুই ঠিক ছিল।’ গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি, চিন্তায় তিন বিকল্প : ৫ জানুয়ারি জনসভা করার ব্যাপারে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। তবে সংঘাত এড়াতে দলটি একাধিক বিকল্প নিয়ে ভাবছে। পুলিশ কোনো দলকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেবে না—এমন আভাস পেয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভার জন্য অনুমতি চেয়ে গতকালই ডিএমপি কমিশানরের কাছে আবেদন করেছে বিএনপি। এ ছাড়া ৫ জানুয়ারির বদলে ৬ জানুয়ারি জনসভার জন্য অনুমতি চাওয়ার কথাও ভাবছে দলটি। আর শেষ পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া গেলে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের স্বরূপ উন্মোচন করতে চায় দলটি। পাশাপাশি অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে এক দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথাও তাদের চিন্তায় রয়েছে।

সূত্র মতে, জনসভা না করতে পারলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজে অথবা দলের পক্ষে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।

সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি করে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঝুঁকি আপাতত বিএনপি নিতে চাইছে না। দলের নেতারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত যে কর্মসূচিই দেওয়া হোক, তা পালন করা হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বাস করি, সরকার গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দেবে। সরকারি দল ১৭ জায়গায় থাকতে পারলে বিএনপি এক জায়গাও জনসভা করতে পারবে না এটি হয় না। আমরা জনসভা করার ব্যাপারে এখনো অটল আছি। দেখি শেষ পর্যন্ত সরকার কী করে। তারা অনুমতি না দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করব।’

দলের অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘সরকারের কোনো উসকানিতে এবার পা দেবে না বিএনপি। জনসভার অনুমতি না পেলে বিকল্প একাধিক ভাবনা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা আছে। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত জনসভার জন্য অপেক্ষা করব।’

গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ঘোষণার মধ্যে উত্তেজনা এড়াতে বিএনপি নয়াপল্টনে জনসভা করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি আজ নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। এবার দেখব আপনারা কতটুক শান্তির পক্ষে, কতটুক গণতন্ত্রের পক্ষে। নোংরামি করে অপরাজনীতি দিয়ে নিজেদের চেহারা ঢাকা যাবে না। আমরা বলব, আপনারা গণতন্ত্র, ন্যায় ও সত্যের পথে আসুন। মানুষের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিন।’

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘শান্তির জন্য, জনগণের স্বস্তির জন্য সংঘাত এড়াতে আমরা আবারও সরকারকে বলতে চাই, আপনারা শান্তিপূর্ণ জনসভা করতে আমাদের অনুমতি দিন। এই জায়গায় বাধা দেবেন না। আপনারা যদি মনে করেন, ওই জায়গা (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) না দিয়ে পার্টি অফিসের সামনে দেবেন, আমাদের আপত্তি নেই।’ অনুমতি না পেলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘কী করব সেটা আমরা ৫ তারিখে বলব। এখনো সময় আছে। অনেক সময় দেখা গেছে যে জনসভার আগের রাত্রেও বলেছে যে আপনরা আপনাদের কর্মসূচি করতে পারেন। আমরা অপেক্ষা করি।’

গত বছরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সে ক্ষেত্রে দলের করণীয় জানতে চাইলে রিজভী বলেন, সে ক্ষেত্রে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম আলাপ-আলোচনা করে কর্মসূচি দেবে।

ঝুঁকি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ডিএমপি : দুই দলের একই স্থানে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া প্রসঙ্গে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি খতিয়ে দেখে ডিএমপি কমিশনার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। গতকাল সকালে মিরপুরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দলের সমাবেশ নিয়ে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে কি না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে। পরিস্থিতি ইতিবাচক হলে ডিএমপি কমিশনার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকলে কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। দুই দলকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’ গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একই স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে। আমরা দুটি দরখাস্তই পেয়েছি। আমাদের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের উদ্ভূত পরিস্থিতি কী হতে পারে সেই ব্যাপারে বিশ্লেষণপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পেলে আমরা চূড়ান্তভাবে দুই দলকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *