হয়ে গেলে একটি নির্বাচন। এর আগে হল আরো দুটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এরও আগে জাতীয় নির্বাচন। সম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন গুলো পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বিগত সময় মনে করলে পরিস্কার যে বিএনপির আমলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। জাতীয় পার্টির সময় তো নয়ই।
রাজনৈতিক দলের অধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষনে বলতে হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্যমত্য প্রয়োজন এর কোনও বিকল্পও নেই। কিন্তু সরকারের ভাবমূর্তি দেখে বুঝা যায় জাতীয় ঐক্যের কোন লক্ষন নেই। সরকার জাতীয় ঐক্যমতকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না।
এ অবস্থায় অস্বচ্ছ ভোটের সরকার প্রজাতন্ত্র নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। সরকারের এমপি ও মন্ত্রীদের কথা শুনছেন না আমলারা। এমনকি ডিসি এসপি সহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সরকারী কর্মকর্তারা জনপ্রিতিনিধিদের ফোন পর্যন্ত অনেক সময় ইচ্ছা করে রিসিভি করছেন না তারা। ফলে জনগনের অধিকার ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনগন। এছাড়া জনপ্রিতিনিধিরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নির্ভর হয়ে যাচ্ছে এই কারণে যে, ভোটের সময় জনগনের ভোট পাওয়ার চেয়ে বেশী দরকার সরকারী কর্মচারীদের মন আদায়। ডিসি এসপি হাতে থাকলেই নির্বাচনে পাশ। এ ক্ষেত্রে জনগনের ভোটের তেমন কোন দরকার নেই। ফলে জনপ্রতিনিধিরাও জনগনকে উপেক্ষা করে সরকারী কর্মচারীদের বেশী প্রাধান্য দিচ্ছেন। এতে করে দেশ প্রজাতন্ত্র নির্ভর হচ্ছে দিন দিন। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সেচ্ছাচারিতা সীমার বাইরে চলে যাবে। এখনই লাগাম টেনে না ধরলে এক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় সংলাপের কোন বিকল্প নেই।