পৌর ভোটের ঘোষিত ফলে পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার মধ্যে বুধবার রাতে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং জোট নেতাদের ডাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বৈঠকের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলন করে আমরা সব কিছু জানাব।”
গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সকাল ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, মুহম্মদ জমিরউদ্দিন আহমেদ, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, ওসমান ফারুক, আবদুল মান্নান, মুশফিকুর রহমান, আবদুল হালিম, জহিরুল ইসলাম, সুজাউদ্দিন, জয়নুল আবেদীন, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল কাইয়ুম, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকের মধ্যেই ২০ দলীয় জোটের নেতারা সেখানে উপস্থিত হন। পরে খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে ছিলেন জাগপার শফিউল আলম প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম।
দশম সংসদ নির্বাচনের বর্জনের পর আন্দোলন করে সরকার হটাতে ব্যর্থ বিএনপি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে আসে, যাতে দলটির মেয়র প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
খালেদার বৈঠক নাগাদ যে কয়টি পৌরসভার ভোটের ফল ঘোষণা হয়, তা বিএনপির ভরাডুবির ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
এর আগে ভোট শেষে বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০টি পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বিচারে সিল মেরেছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের সমর্থকরা।
এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে প্রমাণিত হয়েছে বলেও বিএনপি নেতাদের দাবি।
তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।