চট্টগ্রাম: নগরীজুড়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখার খাতিরে উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। প্রকাশ্যে বা উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে চার দেয়ালের মাঝে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছে সিএমপি।
মঙ্গলবার নগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
নগর পুলিশ সূত্র জানায়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে প্রকাশ্যে কোনও ধরনের আনন্দ উল্লাস এবং আতশবাজি করা যাবে না। ওইদিন (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৮টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত সব ধরনের জমায়েত এবং সব ধরনের বৈধ অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ থাকবে।
পর্যটকদের বিকেল পাঁচটার আগেই ত্যাগ করতে হবে পারকি বিচ ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। সন্ধ্যার পর বিচের দিকে কোন গাড়ি যেতে দেয়া হবে না। কাউকে বিচে অবস্থান করতেও দেয়া হবে না।
ফয়’স লেক, ডিসি হিল, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, কাজীর দেউরী শিশুপার্ক সহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক স্থানেও সন্ধ্যা ছয়টার পর কোন অনুষ্ঠান করা যাবেনা। এছাড়া সন্ধ্যা ৭টার পর পতেঙ্গা-বিমানবন্দর সড়কেও গাড়ি চলাচল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান করতে দেওয়া না হলেও ঘর, কমিউনিটি সেন্টার বা হোটেল রেস্তোরাঁয় উৎসব করতে কোন বাধা দেওয়া না বলে জানিয়েছে নগর পুলিশ।
৩১ ডিসেম্বর বর্ষ বিদায়-বরণের রাতটিকে উদযাপন করতে নগরজুড়ে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে থাকছে নানা আয়োজন। ক্লাবসহ সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও নিয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে নগরীর একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউ ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়া চিটাগাং ক্লাব লিমিটেড, সিনিয়রস ক্লাব, খুলশী ক্লাব, মেট্রোপলিটন ক্লাবও নানা আয়োজনে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করবে।