গ্রাম বাংলা ডেস্ক: সকাল থেকেই রাজধানীতে চলছিল গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে জাতীয় ঈদগাহে ময়দানে জড়ো হন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ।
দেশের প্রধান এই ঈদ জামাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের জামাতে মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রীগণ, সংসদ সদস্যগণ, ঊর্ধ্বতন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। জামাত শেষে মানুষ ভেদাভেদহীন কোলাকুলিতে মেতে ওঠেন।
রাজধানীতে ভোর থেকেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে তিন স্তরের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন মুসল্লিরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুরো ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এ সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হয়।
সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আসেন। এর আগেই পুরো ময়দান লাখো মুসল্লিতে ভরে গেলে অনেকেই পল্টন, মৎস্য ভবন ও প্রেসকাবের রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে।
বায়তুল মোকাররমের খতিব সালাহউদ্দিন আহমদ নামাজ পরিচালনা করেন। নামাজ শেষে দেশ ও বিশ্বের কল্যাণ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন। মুহূর্তে গোটা এলাকা সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) দেিণর ব্যবস্থাপনায় এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নারী ও বিদেশী কূটনীতিকদের নামাজের জন্য জাতীয় ঈদগাহে বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। ৮৪ হাজার পুরুষ এবং সর্বোচ্চ ছয় হাজার নারীর এই ঈদ জামাতে অংশ নেয়ার ব্যবস্থা ছিল। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মুসল্লিদের জন্য জাতীয় ঈদগাহে খাবার পানি অজুখানা ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা রাখে।