কুমিল্লা: বিস্ফোরক ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং হামলার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনের স্বতন্ত্র (আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) মেয়র প্রার্থী ইমাম হোসেন পাটোয়ারীসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর মধ্যে মামলার আওতাভুক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শংকর তালুকদার, আলকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ও কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল বাদী হয়ে মামলা তিনটি দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম ফরহাদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২১ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন পাটোয়ারী এনামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে।
এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকা। বন্ধ হয়ে যায় বাজারের শত শত দোকানপাট। উভয়পক্ষই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় এনাম পাটোয়ারীর সমর্থক চাঁন্দিশকরা গ্রামের খালেদ হোসেন, আজাদ, ফাল্গুনকরা গ্রামের জাহাঙ্গীর গুলিবিদ্ধ হন।
এছাড়া আহত হন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই হোসাইন, কনস্টেবল মনির, পথচারী হান্নানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন।
সংঘর্ষ চলাকালে বাজারে অবস্থানরত দু’টি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল ও পাঁচটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যুতের বিভিন্ন ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিজিবি, র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।