অবশেষে অষ্টম বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে সরকার। ৭ই সেপ্টেম্বর নতুন এ স্কেল ঘোষণার তিন মাস পর গেজেট প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এতোদিন গেজেট প্রকাশ নিয়ে দেরি হওয়ায় প্রশাসনে অসন্তোষ বাড়ছিল। নানা মারপ্যাচে আটকে যাচ্ছিল নতুন পে- স্কেল। ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা ছিলেন হতাশায়। এর আগে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত পে কমিশনের মূল প্রতিবেদনে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য শতভাগ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়। এছাড়া এ কমিশন ২০ টি ধাপের বদলে ১৬ টি বেতন স্কেলের সুপারিশ করে। বেতন কমিশন গত বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে জমা দেয়া মূল প্রতিবেদনে সর্বনিম্ন ধাপের মূল বেতন ৮ হাজার ২০০ টাকা সুপারিশ করে। তাদের সুপারিশ পর্যালোচনা করতে এ বছরের জানুয়ারিতে মন্ত্রিসভা সচিব কমিটি গঠন করে দেয়। তারা প্রস্তাবিত মূল বেতন আরও ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারনের সুপারিশ করেছে সচিব কমিটি। সচিব কমিটি ২০ টি বেতন স্কেলেরই সুপারিশ করে। এ সুপারিশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। এছাড়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেয়া নিয়েও নানা কথা শুরু হয়। সচিব কমিটি’র রিপোর্ট পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা যাচাই বাছাই শুরু হয়। এদিকে বর্তমান বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৪২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বর্তমানে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ২৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বর্ধিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য আগের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ লাগবে ১২ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োজিত চাকরিজীবীরা এ হিসাবের বাইরে। তারা সবাই সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। সে হিসাবে বর্তমানে ২১ লাখ চাকরিজীবী রয়েছেন, যারা সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত মাসিক বেতন পাচ্ছেন।