ঢাকা: পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত ১৬২ জন মেয়র প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। এতে সাতটি পৌরসভায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ৭ মেয়রপ্রার্থী। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৯২১ মেয়র প্রার্থী।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা) জেসমিন টুলী এ তথ্য জানান।
এখন ২৩৪ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯২১ জন। এর মধ্যে সাত পৌর সভায় একক প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন, যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের ২৩৩ জন, বিএনপির ২১৯ জন এবং জাতীয় পার্টির ৭৩ জন। বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেন স্বতন্ত্র ও নির্বাচনে অংশ নেয়া বাকি এক ডজন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।
জেসমিন টুলী বলেন, এবার ৭ পৌরসভায় মাত্র একজন প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত দিন (রোববার) শেষে সোমবার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা গণবিজ্ঞপ্তি করে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। সেই সঙ্গে ইসিতে একটি বিবরণী পাঠাবেন। সাত জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলে জানান তিনি।
এ সাত পৌরসভা ও নির্বাচিতদের নাম সোমবার বিকালে জানানো সম্ভব হবে বলে জানান ইসির এ কর্মকর্তা।
ইসির উপসচিব সামসুল আলম জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সোমবার সকালে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দল মনোনীতরা দলীয় প্রতীক, স্বতন্ত্র মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত মেয়র প্রার্থীরা সংরক্ষিত তালিকা থেকে পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ চাইবে। একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে লটারি করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রার্থী সংখ্যা বেশি হলে ইসির অতিরিক্ত তালিকা থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সকালে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। জেসমিন জানান, ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে মেয়র পদে এক হাজার ২১৩ জন প্রার্থী ছিলেন।
৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে মোট ১ হাজার ৫৬ জন বৈধ প্রার্থী ছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের মনোনীত ৬৭১ জন প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল ৩৮৫ জন।
আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান আরো ২৭ জন। মেয়রপ্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৯০ জন।
রোববার প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬২ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন ৯২১ প্রতিদ্বন্দ্বি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বাদ দিয়ে যারা লড়বেন ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে।