শারমিন সরকার
ব্যুরো চীফ
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
শ্রীপুর অফিস : হালকা বৃষ্টি পড়ায় কর্দমাক্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে ধীর গতি হলেও যানজট নেই। বিপুল সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করার কারণে এখনো কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার সরেজমিন বেলা দেড়টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চেšরাস্তায় দেখা যায়, হালকা বৃষ্টিতে সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। পুলিশ মাথায় ছাতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও গাড়ি আটকে পড়লে তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল টিম গাড়িটি সরিয়ে নিচ্ছেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) মোঃ ছানোয়ার হোসেন গ্রাম বাংলানিউজকে জানান, রাস্তায় কোন যানজট নেই। আশা করি এবার যানজট হবে না।
এদিকে স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে ঈদ করতে গাজীপুর মহানগর থেকে মানুষ নিজ নিজ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত গাজীপুরের সবচেয়ে’ গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন পয়েন্ট ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় দেখা গেছে যানবাহনের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এই মহাসড়কের টঙ্গী থেকে মাওনা পর্যন্ত নিত্য দিনের যানজটও নেই।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়, যেখানে প্রতি ঈদেই যানজট লেগে থাকে সেখানেও একই চিত্র দেখা যায়। তবে চন্দ্রায় যানবাহনগুলো এলোমেলো ভাবে পার্কিং করার প্রবনতা রয়েই গেছে। যা যানজটের অন্যতম প্রধান কারন।
এদিকে যাত্রীদের ধারণা বিকালে যাত্রী সংখ্যা ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে যানজট লেগে যেতে পারে।
গাজীপুর জেলার উপর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল আর টঙ্গী-নরদিংদী এই ৩টি মহাসড়কে বাস, মিনিবাস ও হালকা যানবাহনের ভেতরে স্থান না পেয়ে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে গাড়িতে ভীড় থাকলেও এসব মহাসড়ক দিয়ে যানাবহন চলাচল করছে নির্বিঘেœ। মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই। এরই মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে চন্দ্রা ত্রিমোড় ও চান্দনা চৌরাস্তায় জড়ো হয়েছেন শত শত মানুষ। তবে এসব ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য রয়েছে পরিবহন সংকট। এদিকে আজও ছুটি হয়নি গাজীপুরে অবস্থিত বেশির ভাগ পোশাক কারখানা । এসব কারখানা একযোগে ছুটি হলে কিছুটা যানজট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
এদিকে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে বলে জানালেন টঙ্গী থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) ইসমাইল হোসেন। আসন্ন ঈদে মহাসড়কে তেমন যানজট তৈরি হবে না বলেও জানান তিনি।
পুলিশ প্রশাসন অবশ্য সড়কের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে কাজ করছেন পরিকল্পিত ভাবে। জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন নিজেই সড়ক পরিস্থিতি তদারকি করে অধীনস্তদের নানা ভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে গাজীপুর ট্রাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৯ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ১০ জন ইন্সপেক্টর সহ প্রায় সহস্রাধিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করবে । রাত এবং দিনে ১২ ঘন্টা করে ২ শিফটে কাজ করবে আমাদের পুলিশ ।
ঢাকা ময়মনসিংহ সড়ক এর টঙ্গী বাজার হতে জয়দেবপুর চান্দনা চেীরাস্তা হয়ে জৈনা বাজার পর্যন্ত, মীরের বাজার হতে টঙ্গী, এবং আশূলিয়া হতে চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস মোড় হতে চন্দ্রা হয়ে স্কয়ার পর্যন্ত মোট ৩৮ টি পয়েন্টে ৩৮ টি টিম থাকবে । এই ৩৮ টি পয়েন্টের মাঝ পথে সমস্যা দূর করতে মটর সাইকেল যোগে মোবাইল ডিউটি করবে মোট ১৯ টি টিম ।
পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন বলেছেন, দ্রুত সময়ের গাড়ি যাতে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, সে লক্ষে পুলিশ সার্বক্ষনিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।