ঢাকা: ‘সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প-সংস্কৃতি’ স্লোগান নিয়ে শুরু হল দেশব্যাপী ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৫’।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এমপি। একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী, মসিহউদ্দিন শাকের এবং মোরশেদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এবং ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এবং সকল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে একযোগে একই ধরনের চলচ্চিত্রের ১৫দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৫’ আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক সারা আরা মাহমুদ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।
চলচ্চিত্রের এ আসরে ১৫ দিনে ২২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হবে। উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হয় তারেক মাসুদ পরিচালত চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’। আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে সকাল ১০টায় অ্যাডাম দৌলা পরিচালিত ‘বৈষম্য’, বিকাল ৪টায় আলমগীর কবীর পরিচালিত ‘সীমানা পেরিয়ে’ এবং সন্ধ্যা ৬টায় জহির রায়হান পরিচালিত ‘কাঁচের দেয়াল’।
আগামী কাল ১১ ডিসেম্বর অ্যাডাম দৌলার ‘বৈষম্য’ (সকাল ১০টা), আলমগীর কবিরের ‘সীমানা পেরিয়ে’ (বিকেল ৪টা), জহির রায়হানের ‘কাচের দেয়াল’ (সন্ধ্যা ৬টা), ১২ ডিসেম্বর মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলীর ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’ (বিকেল ৪টা), প্রসূন রহমানের ‘সুতপার ঠিকানা’ (সন্ধ্যা ৬টা), ১৩ ডিসেম্বর গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ (সন্ধ্যা ৬টা), ১৪ ডিসেম্বর বাদল রহমানের ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ (সন্ধ্যা ৬টা), ১৫ ডিসেম্বর হারুনুর রশীদের ‘মেঘের অনেক রং’ (সন্ধ্যা ৬টা)।
এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মোরশেদুল ইসলামের ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ (বিকেল ৪টা), নাসিরউদ্দীন ইউসুফের ‘গেরিলা’ (সন্ধ্যা ৬টা), ১৭ ডিসেম্বর সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ (সন্ধ্যা ৬টা), ১৮ ডিসেম্বর নোমান রবিনের ‘কমন জেন্ডার’ (সকাল ১০টা), তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’ (বিকেল ৪টা), মুরাদ পারভেজের ‘বৃহন্নলা’ (সন্ধ্যা ৬টা), ১৯ ডিসেম্বর আবু সাইয়ীদের ‘কিত্তনখোলা’ (বিকেল ৪টা), আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ (সন্ধ্যা ৬টা), ২০ ডিসেম্বর সাইদুল আনাম টুটুলের ‘আধিয়ার’ (সন্ধ্যা ৬টা), ২১ ডিসেম্বর তানভীর মোকাম্মেলের ‘লালন’ (সন্ধ্যা ৬টা), ২২ ডিসেম্বর সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর ‘ঘুড্ডি’ (সন্ধ্যা ৬টা), ২৩ ডিসেম্বর আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’ (সন্ধ্যা ৬টা), ২৪ ডিসেম্বর গাজী রাকায়েতের ‘মৃত্তিকা মায়া’ (সন্ধ্যা ৬টা)।