ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সবিচালয়ের প্রটোকল উপবিভাগে নিয়মিত মহাব্যবস্থাপকের পদে সমমর্যাদার একজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এএফএম আসাদুজ্জামান বর্তমানে এ পদে নিয়মিত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তাকেই আবার ২ লাখ টাকা বেতনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে লিখিতভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল’।
কাউন্সিল গভর্নরকে দেয়া লিখিত এক চিঠিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, ‘গভর্নর সচিবালয়ে প্রটোকল উপবিভাগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত মহাব্যবস্থাপকের স্থলে একজন চুক্তিভিত্তিক মহাব্যবস্থাপক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে এবং হবিগঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য বোর্ড সভায় তা অনুমোদন হতে যাচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মাঝে আবারও তীব্র ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করেছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সুশাসন এবং প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির অন্তরায়।’
গত ৭ ডিসেম্বর কাউন্সিলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছিদ্দিকুর রহমান মোল্লা ও মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে এসব জানানো হয়।
কাউন্সিল দাবি করছে, চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর ৩২ বছরের চাকরি শেষে আসাদুজ্জামান পিআরএলের (অবসরগ্রহণ প্রস্তুতিমূলক ছুটি) যাবে। এর আগেই তাকে পুণঃনিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির সঙ্গে যায় না। কারণ, নিয়মিত পদগুলোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলে পরবর্তীতে অন্যদের ক্ষেত্রে প্রমোশন পেয়ে সে পদে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকে না। তখন তাদের প্রমোশন আটকে যায়। এর আগেও বিতর্কিতভাবে মতিঝিল অফিসের চিকিৎসা কেন্দ্রে মহাব্যবস্থাপক (চিকিৎসা) পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে কাউন্সিল।
কাউন্সিল এ ধরনের নিয়োগ না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলেছে, ‘কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন হিসেবে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল’ এ ধরনের অনিয়মতান্ত্রিক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তীব্র নিন্দা জানায় এবং এ ধরনের প্রক্রিয়া হতে সরে আসার পাশাপাশি সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার জন্য আবারও সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছে।’
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন পাওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথকে পিআরএল থেকে নিয়ে এসে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অপারেশনাল হেড হিসেবে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। সেসময় ব্যাংকের অফিসারদের সংগঠনের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভবনের সামনে আন্দোলন করেন। আন্দোলনের কারণে অবশ্য ২০ কর্মকর্তাকে শোকজও করা হয়েছিল।