বাস্তবের পথে স্বপ্নের সেতু

Slider জাতীয়

untitled-3_179136

 

 

 

 

 

২০১৮ সালের মধ্যেই শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ_ ক’দিন আগেও কথাটিকে রাজনৈতিক বক্তব্য মনে করা হতো। কিন্তু সত্যিই বাস্তব রূপ নিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পরিকল্পনামাফিক সবকিছু চললে, তিন বছর পর পদ্মা সেতুতে চলবে গাড়ি ও ট্রেন। নদীশাসনের কাজ খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে আছে মূল সেতুর কাজ। আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়াপ্রান্তে সেতুর সার্ভিস পাইলিং এবং জাজিরাপ্রান্তে নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে কর্মতৎপরতা বেড়েছে আগের চেয়ে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দেশের দীর্ঘতম এ সেতু নির্মাণ উন্মুক্ত হলে, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়বে এক দশমিক দুই শতাংশ। তবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যে স্বপ্নপূরণ হচ্ছে, তার মূল্য অর্থনৈতিক হিসাবের চেয়ে ঢের বেশি। গত শনি ও রোববার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেতু নির্মাণে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। ২০০১ সালের ৪ জুলাই এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর পদ্মায় অনেক পানি গড়িয়েছে। কিন্তু সেতু হয়নি। সাড়ে ১৪ বছরের মুখে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তব রূপ পেতে চলেছে স্বপ্নের সেতু।

এগিয়ে চলছে কাজ :আয়তন ও নির্মাণব্যয়ের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু। সর্বশেষ সংশোধনীর পর এর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত শনিবার বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রায় ২৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। একই তথ্য দিলেন সেতু-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পুরো প্রকল্প হিসেবে এক-চতুর্থাংশ কাজ শেষ। ভূমি অধিগ্রহণ এবং পুনর্বাসনের মতো জটিল কাজও শেষ হয়েছে।
সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট এক প্রকৌশলী জানালেন, নির্মাণকাজের প্রায় ১৭ ভাগ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সেতুর ১৪ দশমিক ৯ ভাগ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। কাজ শেষ হয়েছে ১৭ দশমিক ৩ ভাগ। লক্ষ্যমাত্রার ১২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তবে বাকি কোনো প্যাকেজই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেনি। নদীশাসনের কাজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৮ ভাগ। কাজ হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৩ ভাগ। লক্ষ্যমাত্রার ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশই অর্জিত হয়নি। কারণ হিসেবে আকস্মিক নদীভাঙনকে দায়ী করা হচ্ছে। জাজিরাপ্রান্তে সংযোগ সড়কের ৭০ দশমিক ৪৯ ভাগ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও শেষ হয়েছে ৫০ দশমিক ৮৮ ভাগ। মাওয়াপ্রান্তে সংযোগ সড়কের ৬৭ দশমিক ৩১ ভাগ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও শেষ হয়েছে ৫৯ দশমিক ৮৭ ভাগ।

মূল সেতুর অগ্রগতি :গত শনিবার সকালে প্রথমেই যাওয়া হয় চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (এমবিইসি) কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে (নির্মাণ ছাউনি)। এ প্রতিষ্ঠানটিই মূল সেতু নির্মাণ করছে। চার বছরের চুক্তিতে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সেতুর কার্যাদেশ দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় সেতু নির্মাণে সময় লাগবে তিন বছর।
এমবিইসির কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের ফটক থেকে পাইলিং পাইপ নির্মাণের কারখানা হেঁটে প্রায় এক কিলোমিটার। চীন থেকে সাগর পথে বাংলাদেশে এসেছে পাইলিং পাইপ বানানোর ইস্পাতের পাত। দূর থেকে দেখে হালকা-পাতলা মনে হলেও, কাছে গিয়ে ভুল ভাঙে। ৬০ মিলিমিটার বা দুই দশমিক ৩৬ ইঞ্চি পুরু ইস্পাতের পাতগুলো। একেকটির ওজন ১৩ টন। এসব ইস্পাতের পাতকে দানবীয় শক্তির বেন্ডিং মেশিন দিয়ে সিলিন্ডারের আকৃতি দেওয়া হচ্ছে। তিন দশমিক দুই মিটার বা ১০ ফুট ব্যাসের একেবারে নিখুঁত গোলাকার ২৫টি সিলিন্ডার একত্রে যোগ করার পর হচ্ছে একেকটি পাইলিং পাইপ।

ইয়ার্ডে কর্মরত ওয়েল্ডিং শ্রমিক সাইফুল আলম বললেন, ইস্পাতের পাতগুলো শতভাগ স্টেইনলেস। পানির নিচে ১০০ বছরেও কিছু হবে না। ইয়ার্ডের মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী মনোজ দাস বলেন, যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণের জন্য শুধু ওয়েল্ডিং নয়, গ্রেন্ডিংয়ের মাধ্যমে কোথাও যেন এক চুল ফাঁক-ফোকর না থাকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাইলিং পাইপ তৈরির পর, ইয়ার্ড থেকে বসানো রেললাইনের মাধ্যমে নদীতে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে হাজার টনের ক্রেনের মাধ্যমে নেওয়া হবে সেতুর নির্মাণস্থলে।

এমবিইসি মূল সেতু নির্মাণ করলেও পুরো পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন তদারক করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয় এক নম্বর সার্ভিস এরিয়ায়। কাগজের স্তূপ জমেছে তার কার্যালয়ে। প্রতিদিনের কাজের অগ্রগতির হিসাব তাতে। সেতুর পাইলিংয়ের কাজও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এখান থেকেই। আবদুল কাদের জানান, নদীতে প্রতিটি পিলারের জন্য ছয়টি করে পাইলিং করতে হবে। নদীর তলদেশ থেকে আড়াআড়িভাবে পাইলিংয়ের গভীরতা হবে ১১৭ মিটার। তবে কেন্দ্র থেকে গভীরতা হবে ১০১ মিটার। জার্মানি থেকে আনা এক হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোলিক হাতুড়ির মাধ্যমে পোঁতা হবে পাইলিং পাইপগুলো। তবে নকশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত পাথরের স্তর পাওয়া না গেলে সময় মতো কাজ শেষ করতে না পারার আশঙ্কা রয়েছে। ১০ ফুট ব্যাসের পাইপগুলো রড, সিমেন্ট, পাথরের ঢালাইয়ে পূর্ণ করা হবে। এগুলোই হবে সেতুর পিলারের ভিত্তি।

নদীশাসন ও অন্যান্য কাজ :নদীশাসনের দায়িত্বে রয়েছে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো। আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে মাওয়া ও জাজিরা দুই প্রান্তে ১২ কিলোমিটার নদীশাসনের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। মাওয়াপ্রান্তে নদীর তীর ঘেঁষে চলছে নদীশাসনের জন্য কংক্রিট ব্লক তৈরির কাজ। একই কাজ চলছে জাজিরাপ্রান্তে প্রায় এক বর্গকিলোমিটার জুড়ে। প্রকৌশলীরা জানালেন, সাড়ে সাত কোটি ব্লক তৈরি করা হবে। এগুলো দিয়ে নদীতীর বাঁধাই করা হবে। যাতে সর্বনাশা প্রমত্তা পদ্মা আর না ভাঙে। সেতু যেন অটুট থাকে। সিনো হাইড্রোর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, বিশাল মেশিনের সাহায্যে প্রতি মিনিটে চারটি ব্লক তৈরি হচ্ছে। সেগুলো থরে থরে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে নদীর তীরে।

সংযোগ সড়কের কাজ করছে আবদুল মোনেম ও মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান এইচসিএম কনস্ট্রাকশন। জাজিরাপ্রান্তে ১২ কিলোমিটার ও মাওয়াপ্রান্তে দুই কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে।
পরীক্ষামূলক পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় গত মার্চে। আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে সার্ভিস পাইলিংয়ের কাজ। কিন্তু কবে শেষ হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে আবদুল কাদের বলেন, ‘সেতুর মূল কাজই হলো পাইলিং। পাইলিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হবে সেতুর স্প্যান (পিলার)। পিলারের ওপর বসবে সেতুর স্ল্যাব ও ট্রাস। চীনে স্ল্যাব ও ট্রাস বানানোর কাজ চলছে। পিলার বানানোর কাজ শেষ হলে স্ল্যাব ও ট্রাস জুড়ে দেওয়া হবে।’
স্বপ্নের সেতুতে যা যা থাকছে :পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা জানান, মোট ৪২ পিলারের ওপর বাস্তব হয়ে দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এর মধ্যে পানিতে থাকবে ৪০টি। বাকি দুটি ডাঙায় সংযোগ সড়কের সঙ্গে যুক্ত করতে ব্যবহৃত হবে। একটি পিলার থেকে আরেকটির দূরত্ব হবে ১৫০ মিটার। ৬টি মডিউলে বিভক্ত সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সেতুর মাওয়াপ্রান্তে এক হাজার ৪৭৮ মিটার ভায়াডাক্ট (ঝুলন্ত পথ) থাকবে। জাজিরাপ্রান্তে ঝুলন্ত পথ থাকবে এক হাজার ৬৭০ মিটার। এই ঝুলন্ত পথগুলো সেতুকে অ্যাপ্রোচ রোডের (সংযোগ সড়ক) সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রায় তিন দশমিক ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভায়াডাক্টে থাকবে ৮১টি পিলার। রেললাইনের জন্য দুই প্রান্তে ৫৩২ মিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে ১৪টি পিলারের ওপর।

পদ্মাই হতে চলেছে দেশের প্রথম দ্বিতল সেতু। এর উচ্চতা হবে ১৩ দশমিক ৬ মিটার বা প্রায় ৪৪ ফুট। নিচতলায় (লোয়ার ডেক) ট্রেন চলবে। মিটার ও ব্রড গেজ উভয় ধরনের ট্রেন চলাচলে ডাবল গেজ রেললাইন থাকবে। দ্বিতীয় তলায় (আপার ডেক) চলবে গাড়ি। আপার ডেকের প্রস্থ হবে ৭২ ফুট। ফুটপাত ও সেতুর রেলিংয়ের জন্য দুই পাশে আড়াই মিটার করে জায়গা থাকবে। সেতুর ওপরে চার লেনের রাস্তার প্রস্থ হবে প্রায় ৫৬ ফুট।
দুই ডেককে আলাদা করা হবে আড়াআড়িভাবে বসানো ট্রেসের মাধ্যমে। ট্রেন ও যানবাহন চলাচল ছাড়াও সেতুতে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ থাকবে দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য। ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসবে অপটিক্যাল ফাইবার ও টেলিযোগাযোগের লাইন স্থাপনে। উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনেরও ব্যবস্থা থাকবে। এই সেতুর বদৌলতে দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস পেঁৗছাবে। বিদ্যুতের ঘাটতিও দূর হবে।

সর্বনাশা পদ্মার স্মৃতি :উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে গিয়ে কত মানুষই না হারিয়েছেন তাদের স্বজনদের। স্বজন হারানো ওই মানুষদের অনেকেই এখন ভয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়া তো দূরের কথা, পদ্মাপাড়ে যান না। এমনই এক স্বজনহারা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের শারমিন আকতার বলেন, ‘পদ্মা পাড়ি দেওয়া তো দূরের কথা, লঞ্চ দেখলেই শুধু কান্না আসে।’ তবে পদ্মা সেতু হলে আবার ঢাকায় যাবেন বলে জানালেন শারমিন। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট শিবচরের কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া (বর্তমান শিমুলিয়া) আসার পথে পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। ওই দুর্ঘটনায় শারমিনের ভাই ফরহাদ মাতব্বর, ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী, ছেলে ফাহিম ও শ্যালক বিল্লালের সলিল সমাধি ঘটে।]

শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের চরচান্দ্রা গ্রামের ফারহানা বেগম মিলি বললেন, পুরো ১০ ঘণ্টা লেগেছিল তার পদ্মা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে পেঁৗছতে। অথচ ঠিক সময়ে হাসপাতালে পেঁৗছতে পারলে গর্ভের সন্তানটিকে জীবিত ভূমিষ্ঠ করতে পারতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাবনা :কবে শেষ হবে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ? অপেক্ষায় আছেন সকলেই। সেতু হওয়ার আগেই চরের মানুষদের জীবন-যাপনে অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে বলে জানালেন চরেরই বাসিন্দা মোহাম্মদ সাবি্বর। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পরই পদ্মার দুই পাড়ে শিল্প-কারখানা নির্মাণের ধুম পড়েছে। সেতুর দুই পাড়ে জমি কেনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আবাসন প্রকল্পসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই অনেক উদ্যোক্তা এখানে জমি কেনা শুরু করায় জমির দাম বাড়ছে বহুগুণ। তবে সেতু হলে সাবি্বর নিজে জীবিকা হারাবেন বলে আশঙ্কা করছেন। চরচান্দ্রা গ্রামে একেবারে পদ্মার কিনারঘেঁষে সাবি্বরের ওয়ার্কশপে স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা মেরামত করা হয়। সেতু হলে বন্ধ হয়ে যাবে ছোট ছোট এসব নৌযান এবং বন্ধ করতে হবে সাবি্বরের ওয়ার্কশপও। তারপরও সকলেই চান দ্রুত শেষ হোক পদ্মা সেতুর কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *