ভোটে তৃণমূলকে ঠেকাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সিপিএমের একটি অংশ কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চান। রাজ্য কংগ্রেসেরও অনেকে চাইছেন ভোটের আগেই প্রকাশ্যে বা পরোক্ষ সমঝোতা হোক বাম মোর্চার সঙ্গে। কিন্তু সংকটের সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন সমর্থন চাইলেন, সিপিএম ফিরিয়ে দিল সেই আবেদন। বরং তৃণমূল এগিয়ে এল সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সমর্থনে।
সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে এক সুরে সরকারের বিরুদ্ধে গলা চড়ালেন তাদের সাংসদরা। আর দিল্লিতে গিয়ে প্রকাশ্যেই সোনিয়ার পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —খবর আনন্দবাজার পত্রিকা
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে নিম্ন আদালতে সমনের প্রতিবাদে গতকাল গোটা দিন সংসদ অচল করে রাখে কংগ্রেস। তাতে সমর্থন যোগায় তৃণমূল। ব্যক্তিগতভাবেও সোনিয়া রাহুলের পাশে থাকার বার্তা দিতে মুখ খোলেন মমতা। তার কথায় এতো বছর রাজনীতি করার পর যদি কাউকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়, তা হলে খুবই অস্বস্তি হয়। আমারও খারাপ লাগছে। সময় হলে সোনিয়াজির সঙ্গে আমি দেখা করবো। এ বিষয়ে কথা হবে।
বিধানসভা ভোটের সময় সমীকরণ কী দাঁড়াবে সে পরের কথা। তবে সন্দেহ নেই, রাজ্যে কংগ্রেস সিপিএম সমঝোতার ভাবনায় কিছুটা হলেও জল ঢেলে দিয়েছে এ দিনের মমতা সোনিয়া তথা কংগ্রেস-তৃণমূলের সমঝোতার ছবিটি। অ-বিজেপি দলগুলোর মধ্যে একমাত্র তৃণমূলই এইভাবে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেসের যারা সমঝোতার পক্ষে সওয়াল করছেন, তারা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন এতে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে মল্লিকার্জুন খড়গে, গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলের মতো কংগ্রেস নেতারা বারবারই বলেছেন, শুধু তাদের দলকেই নয় তৃণমূল ও বিরোধী শিবিরের অন্যদেরও একইভাবে নিশানা করা হচ্ছে। সারদা মামলায় জেরবার তৃণমূলের দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এভাবে কাছে টানার চেষ্টা চালাচ্ছেন দেখে বেজায় অস্বস্তিতে রাজ্যের কট্টর তৃণমূল বিরোধী কংগ্রেস নেতারা।