ঢাকা : রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তৈরিকৃত প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিযোগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আদালতের রায়ের কপি বের হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার এ রায় দেন।
আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল নুসরাত জাহান।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, ‘এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এর মাধ্যমে প্যানেলভুক্তদের নিয়োগে যে আইনি জটিলতা ছিল, তা আর থাকলো না।’
জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর শর্তে উল্লেখ করা হয়।
এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর এক পরিপত্রে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের কথা জানায়। সে সময় প্রায় ১৪ হাজারের মতো নিয়োগও দেয় সরকার।
এতে করে মেধা তালিকার প্রথম দিকে থেকেও অনেকে নিয়োগ বঞ্চিত হন। পরে ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। এরপর নিয়োগ দেয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন চাকরি প্রত্যাশী প্যানেলভুক্তরা।
পরে নিয়োগ বঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত সদস্যদের মধ্য থেকে কয়েক হাজার জন ইউনিয়নভিক্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন। আজ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিয়োগের নির্দেশ দেন