ঢাকা: মাঝে মাঝেই দাঁতের মাড়িতে ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষ করে শীতকালে যখন তখনই দাঁত শিরশির করা, ব্যথা হওয়া, মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যায়। এসময় ঠাণ্ডা বা গরম কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা কষ্টকর। আক্রান্ত দাঁতে গর্ত দেখা দিতে পারে। দাঁতের উপরে সাদা, কালো বা বাদামী দাগ পড়ে। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে ইনফেকশন বৃদ্ধি পেয়ে ব্যথা ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। আক্রান্ত দাঁতটি হারানোর আশঙ্কাও থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া কিছু উপায়ে দাঁতের ব্যথা কমানো সম্ভব। জেনে নেয়া যাক সেসব উপায় সম্পর্কে।
হলুদ গুঁড়া
দাঁতের ছিদ্রের সমস্যায় হলুদ গুঁড়া ব্যাবহার খুবই উপকারী। হলুদে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান আছে যা দাঁতের ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনকে ধ্বংস করতে পারে। হলুদ গুঁড়া ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আস্তে আস্তে ব্যথা হওয়া দাঁতের গোড়ায় লাগান,ব্যথা কমে যাবে।
পেঁয়াজ
এক টুকরো পেঁয়াজ আক্রান্ত দাঁতের উপরে চেপে রাখলে দাঁতের ব্যথা কমে যাবে। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে দাঁত ক্ষয় এর সমস্যা কমায়। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে দাঁত ক্ষয় সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
লবণ
লবণে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। এ উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত করে প্রদাহ কমাতে ও ব্যথাকে সহনীয় করতে সক্ষম। ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে মুখে নিয়ে ১ মিনিট রাখুন। আক্রান্ত দাঁতের গোড়ায় বেশি করে গরম পানির তাপ লাগানোর চেষ্টা করুন। এভাবে দিনে ৩ বার করলে ব্যথা কমে যায়। এছাড়াও ১ টেবিল চামচ লবণ অল্প সরিষার তেলের সঙ্গে অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাড়িতে ম্যাসাজ করতে পারেন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করে নিন। এভাবে দিনে ২ বার করে কয়েকদিন করলে অভাবনীয় উপকার পাবেন।
এছাড়াও বেকিং সোডা, অ্যালোভেরা, লবঙ্গ, রসুন, পুদিনা, আপেল সিডার ভিনেগার ইত্যাদি ব্যবহার করেও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ও দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। দাঁতের সুস্থতা রক্ষায় সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁত পরিষ্কার করতে ফ্লস ব্যবহার করতে পারেন এবং প্রতিদিন অবশ্যই জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। দাঁতের পরিচর্যায় নিয়মিত করা এসব কাজ আপনাকে অনেকটায় নিশ্চিন্ত রাখবে।