গ্রাম বাংলা ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদিনির্বাচনে নিরঙ্কুশ ও ঐতিহাসিক বিজয়ের পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গণমাধ্যম থেকে অনেকটাই দূরে সরে রয়েছেন। গণমাধ্যমের চেয়ে তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে।
শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অনুসারী ৫০ লাখ। মোদির ফেসবুক পেজেই লাইক পড়েছে এক কোটি।
প্রধানমন্ত্রী মোদির কোনো গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা নেই। এর পরিবর্তে তিনি ৭০ বছরের জগদীশ ঠ্যাকারকে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করে একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, ‘তিনি স্রেফ হাসেন। পরে আমরা হাসি। আমাদের মধ্যে তথ্যবিনিময় হয় না।’
মোদি প্রথম সফর করেন ভুটানে। সেখানে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমের কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে যান। বড় বড় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি সঙ্গে নেননি।
মন্ত্রী এবং আমলাদের মোদি বলেছেন গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলতে। মোদি যখন আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেন গণমাধ্যমগুলো কেবলমাত্র তখনই সেগুলো ধারণ করতে পারে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, মোদির এই কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে তিনি গণমাধ্যমের ব্যাপারে উদাসীন।
ভারতের বিখ্যাত সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার বলেন, মোদির আচরণে তাঁর মন্ত্রীদের মধ্যে আগে যাঁরা গণমাধ্যমবান্ধব ছিলেন, তাঁরা সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিকদের এখন মোদির মনোভাব জানতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এ মাসের শুরুতে মোদির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাজেট পাস হওয়ার পরে অল্প কয়েকটি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। তবে মোদি সরাসরি কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কম যোগাযোগ রাখার কথা বলেননি। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, মোদির সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।
নাম প্রকাশ না করে একজন সাংবাদিক বলেন, মোদি আসলে গণমাধ্যমের ওপর খুব বেশি ভরসা করতে পারেন না। ২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রাণহানির ঘটনায় মোদি সমালোচিত হন। এরপর থেকেই গণমাধ্যমের প্রতি তাঁর আস্থা কম।