ঢাকা: শীত মানে স্বস্তির হাওয়া। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে বদলে যায় সেই প্রশংসনীয় অর্থ। শীতের কাঁপুনি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বেশিরভাগ সময় গরম কাপড়ে মুড়ে থাকা। খাবার দাবার, চলাফেরায় সব সময় থাকতে হচ্ছে সচেতন। তারপরও শিরশিরে ঠাণ্ডা বাতাস আর কুয়াশার প্রকোপে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানা ধরণের রোগ। সামান্যতে হালকা জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা অস্বস্তিকর রোগ। যাদের নিয়মিত বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয় তাদের সমস্যা আরও বেশি। তাই সুস্থ থাকতে অবলম্বন করতে পারেন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ভেষজ উপায়। ছোট-বড় সবার জন্য উপকারী। জেনে নেয়া যাক তীব্র শীতেও সুস্থ থাকার কিছু কৌশল।
* তুলসিপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। চা তৈরির সময় লিকারে সামান্য তুলসি গুড়া মিশিয়ে দিলে চা এর স্বাদ ভালো আসবে, ঠাণ্ডা জনিত সমস্যাও দূর হবে।
* সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ছোট এক কাপ দই খেলে ঠাণ্ডা সংক্রমণের পরিমাণ কমিয়ে দেয় শতকরা ২৫ ভাগ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কার্যকর। দই বিশেষ করে ঠাণ্ডজনিত রোগের বিরুদ্ধে দেহকে শক্তিশালী করে।
* ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা সারাতে মধুর জুড়ি নাই। শীতের রাতে মধু খেয়ে ঘুমাতে পারেন। প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। ঠাণ্ডায় সর্দি আপনার কাছেও ভিড়তে পারবে না।
* লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং লৌহ ঠাণ্ডাজ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরও রয়েছে পটাসিয়াম যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়াও লেবু কফ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে একগ্লাস উষ্ণ গরম পানির মধ্যে এক টুকরো লেবু চিপে খেতে পারেন।
* ঠাণ্ডায় যারা ফুসফুস বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভোগেন, হাঁচি, কাশি, অ্যালার্জির সমস্যা, বুকে শ্লেষ্মা জমাসহ নানা সমস্যায় থাকেন তাদের জন্য খুবই উপকারী আদা-চা। শীতে নিয়মিত আদা-চা খেলে এধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।