ঢাকা: ১০০ জন নারী সদস্য নিয়োগ দেয়ার মধ্য দিয়ে বিজিবিতে নারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বিজিবিতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় প্রথমে ৫০ জন নারী সদস্য নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় আমরা অনুরোধ করে সেটাকে বাড়িয়ে ১০০ জন করিয়েছি।’
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘এর মাধ্যমে বিজিবিতে নারী সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। ফলে দেশসেবা ও সীমান্ত নিরাপত্তার অংশীদার হবে নারীরাও।’
রোববার দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালনের মূল কর্মস্থল বর্ডার অপারেশন পোস্টসমূহের (বিওপি) উন্নয়ন অংশ হিসেবে ৩৩৩টি বিওপিতে সোলার প্যানেল স্থাপন, ২৯টি বিওপিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, বিদ্যুৎ রয়েছে এমন বিওপিতে রঙিন টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ সরবরাহসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তার দায়িত্বকালে বিজিবির সিপাহী হতে সুবেদার-মেজর পর্যন্ত মূল বেতনের ৩০ শতাংশ সীমান্ত ভাতা চালু হয়েছে, অগ্রিম বেতনসহ দুই মাসের ছুটি প্রদান ও রেশন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘চোরাচালান তল্লাশির কাজে ডগ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। আধুনিক স্ক্যানার মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যদের সন্তানদের জন্য ছাত্রীনিবাস স্থাপন করেছি, যেখানে ১৫৬ জন ছাত্রী থাকতে পারবে। সকল খরচ বহন করবে বিজিবি কর্তৃপক্ষ।’
তিনি জানান, তার দায়িত্বকালে বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। অবসরে যাওয়ার পর যাতে তারা বিভিন্ন কাজে যুক্ত হতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজিবির ডিজি আরও বলেন, ‘৪৮ জন খেতাবপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বসতবাড়ি করে দিয়েছি। মোবাইল সেবার মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন সৈনিক যেকোনো স্থান থেকে এ সুবিধা নিতে পারবেন। একটি বার্তা পাঠালেই আমাদের এখান থেকে কল করে জানানো হবে কোন রোগের জন্য কোন ওষুধ খেতে হবে।’
৭৪০ কিলোমিটার ক্রসলাইনে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে জানিয়ে এ সময় তিনি বলেন, ‘সীমান্তে আমাদের যেসব সৈন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, সাথে সাথে অ্যাকশন নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে শতাধিক সৈন্যের অভিযোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনটি হাসপাতালসহ চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও টেলিমেডিসিনের অগ্রগতি বিষয়েও উল্লেখ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।