সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার ‘হরণ’ করে স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বেঈমানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এদিন ক্ষমতা ছাড়েন তৎকালীন সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ। বিভিন্ন সংগঠন এই দিনকে স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, “বিনা ভোটের সরকার সংবিধানে বর্ণিত জনগণের মৌলিক অধিকার সম্পূর্ণভাবে হরণ করেছে। দেশে আজ গণতন্ত্রের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই।
“যে স্বপ্ন নিয়ে এদেশের মানুষ নব্বই সালে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছিল, জনগণের সকল আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন আজ এই কর্তৃত্ববাদী সরকার তছনছ করে দিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার সাথে বেঈমানি করছে।”
দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, “২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে বর্তমান শাসকদল তার পুরনো একদলীয় বাকশালী চেতনায় আশির দশকের গণতন্ত্র হত্যাকরী পতিত স্বৈরাচার এবং ৭২-৭৫ সালের সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংসের খেলায় মেতেছে।
“সকল দলের মিলিত ইচ্ছায় যে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা এরা সংবিধান থেকে মুছে দিয়েছে।”
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।