আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘পৌরসভায় এবার দলীয়ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের সভানেত্রী প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করেছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে গঠনতন্ত্র অনুসারে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তি দল থেকে বহিষ্কার।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করে এ কথা বলেন তিনি।
চূড়ান্ত তালিকায় বাগেরহাটের মংলাপোর্ট ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত থাকলেও সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভায় মুক্তার আলীর প্রার্থিতা ঘোষণা করা হলেও বৃহস্পতিবার আকস্মিকভাবে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিনের পর কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। তবে কৌশলগত কারণে কয়েকটি স্থানে একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন ছাড়াও বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। কারণ ত্রুটি-বিচ্যুতির ফলে কারও প্রার্থিতা বাতিল হলে বিকল্প প্রার্থীই সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।’
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, বিএম মোজাম্মেলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।