পঞ্জিকার পাতায় শীতকাল আসবে ১১ দিন পর। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যভাগ থেকে শীতের শুরু হলেও মাসের শেষার্ধ থেকে বইতে শুরু করবে শৈত্যপ্রবাহ।
বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাসিক বৈঠকে প্রকাশিত আগামী এক মাসের পূর্বাভাসে এ তথ্য দেওয়া হয়।
মাসিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
তবে আগামী জানুয়ারিতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে দেশের উত্তারাঞ্চলে। ত্রৈমাসিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
শাহ আলম বলেন, এখনও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় খানিকটা বেশি। তবে মাসের আগামী দিনগুলোতে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমবে। মাসের শেষদিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে একটানা দুই থেকে তিন দিন ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়ার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপ দুর্বল থাকায় এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু ও নিম্নচাপগুলো বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম না করায় কম বৃষ্টি হয়েছে। এ মাসেও একই চিত্র দেখা যেতে পারে।