যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ফরেন পলিসি’ ২০১৫ সালের ‘নেতৃস্থানীয় বৈশ্বিক চিন্তাবিদ’-এর তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ‘দ্য লিডিং গ্লোবাল থিংকারস’ শীর্ষক তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। এটি ফরেন পলিসি প্রকাশিত এ ধরনের সপ্তম তালিকা।
১০০ চিন্তাবিদকে নয়টি বিভাগে স্থান দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ডিসিসন মেকারস, চ্যালেঞ্জার্স, ইনোভেটরস, অ্যাডভোকেটস, আর্টিস্টস, হিলার্স, স্টুয়ার্ডস, ক্রনিক্লার্স ও মোঘলস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসিসন মেকারস (সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী) তালিকায় রয়েছেন। একই তালিকায় রয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগট ওয়ালসট্রম, গ্রিসের সাবেক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান প্রমুখ।
শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফরেন পলিসি বলেছে, ‘সারা বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ (কার্বন) নির্গমন হলেও ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে দেশটির এক কোটি ৮০ লাখ নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে। অলস সময় পার না করে ৩০ শতাংশ দারিদ্র্যসহ অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ সুরক্ষাকে একটি জাতীয় অগ্রাধিকার বিষয়ে পরিণত করেছেন—এ জন্য চলতি বছর তিনি জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার পেয়েছেন।’
ফরেন পলিসি আরো বলেছে, ‘২০০৯ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছিল প্রথম, যার জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত কৌশল প্রণয়নের প্রয়োজন ছিল; এরপর দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সংবিধান সংশোধনের অঙ্গীকার করে এবং লাখ লাখ বাড়িকে সৌরশক্তির আওতায় নিয়ে এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনের লক্ষ্যে দেশটির বাজেটে ৬ থেকে ৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, ‘গত সেপ্টেম্বরে হাফিংটন পোস্ট তার সম্পাদকীয়তে বলেছে, হাসিনার মতে আমাদের সময়ে সবচেয়ে বৃহৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত উন্নত দেশগুলোকে উৎসাহিত করবে।