হতে পারেন তিনি একজন পাবলিক ফিগার। তা বলে কেউ তাঁর বেডরুমে উঁকিঝুঁকি মারবেন, তা বরদাস্ত করবেন না টেনিস সুন্দরী। বিবিসি-র হান্ড্রেড ওমেন সিরিজ-এর জন্য দেওয়া সাক্ষাত্কারের এক জায়গায় সানিয়া মির্জা বলেন, টেনিসের বাইরে প্রায়ই একটা প্রশ্ন আমাকে শুনতে হয়। কবে আমি সন্তানের মা হচ্ছি? ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কেউ না কেউ, এই প্রশ্নটাই আমাকে করেন। কাউকে এ ধরনের প্রশ্ন করাটাই আমার কাছে অসম্মানজনক বলে মনে হয়।
এর পরেই সানিয়া যোগ করেন, আমি সেলিব্রিটি মানে এই নয়, আমি কাউকে এ ধরনের প্রশ্ন জিগ্যেস করার অধিকার দিয়েছি। আমি বেডরুমে কী করছি, সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত। এটা নিয়ে কারও প্রশ্ন করা সাজে না। সোজাসাপ্টা জবাব টেনিস কোর্টে মার্টিনা হিঙ্গিসের পার্টনার সানিয়ার।
সুইস পার্টনারের সঙ্গে জোট বাঁধার পর ডাবলসে সানিয়ারা এখন বিশ্বের এক নম্বর জুটি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মার্টিনা-মির্জা টেনিস কোর্টে এখনও অপ্রতিরোধ্য। একের পর এক খেতাব জিতছেন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে WTA খেতাবও তাঁরা জিতে নিয়েছেন। সবমিলিয়ে এই মরশুমে তাঁদের ঝোলায় নটি খেতাব। ইউএস ওপেন থেকে উইম্বলডন, মিয়ামি থেকে বেজিং হয়ে ইন্ডিয়ান ওয়েলস। সব খেতাবই অর্জন করেছেন এই ইন্দো-সুইস জুটি।
ডাবলসে বিশ্বের একনম্বরে উঠে আসার পর, ভারতের হাইয়েস্ট-পেড অ্যাথলেটদের মধ্যে একজন সানিয়া মির্জা।
এর পরেও ভারতীয় টেনিস সুন্দরীর মনে হয়েছে, মেয়ে বলেই তাঁকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। সানিয়ার কথায়, তুমি যদি মেয়ে হও, তা হলে সাফল্যের জন্য নিশ্চিত ভাবেই তোমাকে অন্যের তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। শুধু ভারত বা কোনও নির্দিষ্ট দেশ বলে নয়। বিশ্বের সবকটি দেশের জন্যই এটা সমান সত্যি।
সানিয়ার মনে হয়েছে, মেয়ে হয়ে যেন ভুল করে পুরুষ বিশ্বে ঢুকে পড়েছেন।
সুত্রঃ এই সময়