কবর থেকে জাপানি নারীর লাশ উত্তোলন

Slider জাতীয়

 

 

1448609890

 

 

 

 

আদালতের নির্দেশনার পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে প্রায় মাস খানেক আগে মারা যাওয়া জাপানি নারী হিরোয়ি মিয়েতার মরদেহ। শুক্রবার সকালে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সিটি কর্পোরেশন কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়।

সকালে একজন জেলা নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর থেকে মিয়াতার মরদেহ উত্তোলন করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল কুদ্দুস।

এর আগে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য মিয়েতার গলিত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক উজির আলী জানান, তদন্তের স্বার্থে ওই নারীর লাশ উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আদালত একজন জেলা নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

উত্তরা পূর্ব থানার ওসি আবু বকর মিয়া বলেন, আদেশের কপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানোর পর একজন নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর সিটি কর্পোরেশন কবরস্থান থেকে মিয়াতার গলিত মরদেহ শুক্রবার উত্তোলন করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় ২৪ দিন ধরে মিয়েতা নিখোঁজ উল্লেখ করে ১৯ নভেম্বর জাপান দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানায় একটি জিডি করেন। পরে থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর মিয়াতা মারা গেছেন।

ওই দিন উত্তরা বনানীর ১২ নম্বরে কবরস্থানে হিরোয়ি মিয়েতার মরদেহ হালিমা খাতুন পরিচয়ে দাফন করা হয়। মারুফুল নামে এক ব্যক্তি কবরস্থান কর্তৃপক্ষের কাছে হালিমার নাতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাফনের ব্যবস্থা নেন।

ওই ঘটনার পর পাঁচজনকে আসামি করে ২২ নভেম্বর মামলা করে পুলিশ। তাদের মধ্যে মো. মারুফুল ইসলাম, রাশেদুল হক, ফখরুল ইসলাম, বিমল চন্দ্র শীল ও মো. জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়। গত মঙ্গলবার তাঁদের চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

ওসি আবু বকর মিয়া বলেন, পরিচয় গোপন করে ওই জাপানির লাশ দাফন করার সন্দেহ রয়ে গেছে। ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড ঘটনা কি না তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এখন পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে মিয়াতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন আটককৃতরা।

হিরোয়ি প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকায় ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে সিটি হোমস নামে একটি আবাসিক হোটেলে থাকতেন। ঢাকার কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া জাপান সরকারের পেনশনও পেতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *