ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিষয়ে একটি প্রস্তাবের উপর সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েক জন সদস্যর ১৫ দফার এই প্রস্তাবে সময়ে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিক হত্যা, প্রকাশক-ব্লগারদের উপর হামলা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচিত হবে।
এছাড়াও দেশের সবগুলো রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাতে প্রস্তাব আনা হয়েছে। গণতান্ত্রিক সুশাসন পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পর্যালোচনার কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাব। ব্রাসেলসের স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পর বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হবে। প্রস্তাবটি তুলেছে গ্রুপ অব দ্য প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অব সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস ইন দ্য ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বা এস অ্যান্ড ডি গ্রুপ। গ্রুপের ওই প্রস্তাবে তাদের ভাষায়, বাংলাদেশে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উত্থাপন করা ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের লঙ্ঘন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদেশী হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। প্রকাশক ও ব্লগারদের ওপর হামলা এবং তাদের হত্যায় নিন্দা জানানো হয়েছে।
এস অ্যান্ড ডির ওই প্রস্তাবে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশক ও ব্লগারদের পাশাপাশি বিদেশী হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।প্রস্তাবে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের গুম নিয়ে তদন্তের জন্যও আহ্বান জানানোর কথা বলা হয়।
এতে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া, গণমাধ্যম বিষয়ক নতুন নীতিমালা প্রত্যাহার এবং মত ও বাক প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বলার পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যম অবিলম্বে চালুর আহ্বান জানানো হয়।
প্রস্তাবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৫ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রাখা এবং রাষ্ট্রবিরোধী প্রকাশনার অভিযোগ প্রত্যাহারেরও কথা বলা হয়।