তবু তোমাকে চাই
আমারো আছে বুকের মধ্যে এক্ষুণি চাই ধ্বনি,
যখনই আমি তোমাকে ভাবি, তক্ষুণি তা শুনি।
যখনই চাই সহজলভ্য নারীর কাছে যেতে,
একখানি মুখ ঝলসে ওঠে, তোমাকে চাই পেতে।
সময় বসে ভেংচি কাটে- এক্ষুনি নয় সব,
আমিও বুঝি, তোমাকে পাওয়া একটু অসম্ভব।
পৌত্তলিক
যখন আমি তোমার মুখের দিকে তাকাই,
মনে হয় দু’টি শিল্পিত হাতের দশটি অঙুল
চীনামাটির ফ্লাওয়ার- ভাসের মতো আদর করে
ধরে রেখেছে তোমার গৌরবর্ণ- স্নিগ্ধ মুখখানি।
সেই কবে, একদিন সুদূর শৈশবে
মাটির প্রতিমা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল চোখ,
তারপর তুমি, মাটির বদলে মাংস,
কল্পনার বদলে বাস্তব, পৌত্তলিক রক্ত
তবু তোমাকে প্রতিমা ভেবে সুখী।
তুমি কি আমাকে শেষে উন্মাদ করে দেবে?
ঐ যে স্ত্রৈণ যায়
যে আমাকে স্ত্রৈণ বলে- বলুক,
আমি অগ্নি সাক্ষী রেখে তোমাকে বলছি- স্ত্রী।
চন্দন চিতার বুকে তুমি এসে শুয়েছো শয্যায়,
আমার যৌবন যাহা চায়, তুমি তার সবই এনে
দিয়েছো সাজিয়ে। সহমরণের স্পৃহা যতবার
জ্বলেছে আমাতে, ততবার জ্বলেছো তুমিও।
আমার কি সাধ্য আছে তোমাকে সাজাই?
আমি অনন্তকে সাক্ষী রেখে তোমাকে বলেছি, স্ত্রী।
আমি শুধু স্ত্রৈণ হতে চাই।
যে আমাকে স্ত্রৈণ বলে, বলুক।