বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আইন-আদালতও এখন শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- সরকার কোনোভাবেই বিরোধী মতকে সহ্য করছেন না এবং তারা গণতন্ত্রের সকল ক্ষেত্রকে সংকুচিত করতে করতে এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থার পথেই দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
সোমবার বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান খান রিপন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, বর্তমান বিনাভোটের সরকার বিরোধী দলের কর্মী ও নেতৃবৃন্দের নামে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সারাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে এ ধরনের মিথ্যা মামলায় প্রায় তিন সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে নতুন আটক করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আইন-আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেওতাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়ার ঘটনা এখন সরকার রেওয়াজে পরিণত করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বেলায় একই ঘটনা ঘটেছে। দেশের মানুষের কাছে সম্মানিত হিসেবে বিবেচিত এসব রাজনীতিকদের সম্মান ক্ষুন্ন করার মতো মিথ্যা অভিযোগে আটক করা কোনো সুস্থ রাজনীতির ঘটনা নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দল সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক অধিকার থেকে এখন বঞ্চিত। দেশের গণতন্ত্রের লেশমাত্র চিহ্ন নেই। মৌলিক ও মানবাধিকার আগেই ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।
সারাদেশে প্রতিদিন যে গণগ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করার পাশাপাশি তিনি আটককৃতদের মুক্তি এবং হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
