একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার সুজা আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাকে সোমবার দুপুর আড়াইটায় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা রোববার রাতে সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ‘গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ’ প্রকাশ করেছে। এ বিবৃতিটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর পরই দেশটির হাইকমিশনারকে তলব করা হয়।
একাত্তরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে আমরা লক্ষ্য করেছি যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাকিস্তান শঙ্কিত।’
এতে আরও বলা হয়েছে, “১৯৭১ সালের ঘটনার ব্যাপারে বাংলাদেশে যে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বিচার চলছে সেবিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেছি।”
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই সমালোচনা করে আসছে পাকিস্তান সরকার। এর আগেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর পাকিস্তান সরকার একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।