শনিবার মধ্যরাতে দুই যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দন্ড কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি লাল অধ্যায় রচিত হল। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা গনহত্যা বুদ্ধিজীবী হত্যা ও গণধর্ষনের অভিযোগে এক জোটের দুই শীর্ষ নেতার মৃত্যুদন্ড নিঃশন্দেহে একটি অধ্যায়। ওই দুই জন্য আসামী বাংলাদেশের মন্ত্রীত্ব করায় তাদের ফাঁসির দন্ড কার্যকর সাদা অধ্যায়কে লাল করেছে। কারণ যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন জেনে শুনে তাদের মন্ত্রীর মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উপহার দেয়ার কারণে ওই ফাঁসিটি লাল অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এই অন্যায়টি বিএনপি ও আওয়ামীলীগ উভয় দল করেছে। বিএনপি দুই জনকে জাতীয় পতাকা দিয়েছে। আওয়ামীলীগ একজনকে জাতীয় পতাকা দিয়েছে। আর ক্ষমতার জন্য দুই দলই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জুট করেছে। দেশ বিরোধী দল জেনেও দুই জোট কেন জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েছিল তা এখনো আমাদের অজানা।
জনমতের মূল্যায়ন করলে ওই দুই নেতার ফাঁসি কার্যকর একটি দুস্প্রাপ্য বিষয় ছিল। ফাঁসি কার্যকর ওই দুরাশাতে আশার পানি জমিয়েছে। জাতি আশা করে একই ইস্যুতে ফাঁসি হওয়া ৪ জনের মতই সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হবে। তবে অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলেও যুদ্ধাপরাধী আছে। জাতির প্রত্যাশা মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় করণ না করে দল মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষভাবে যুদ্ধপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা উচিত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে দলীয় করণ উচিত নয়।
১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারীদের মধ্যে এই পর্যন্ত ৪ জনের দন্ড কার্যকর হয়েছে। গোলাম আযম দন্ডভোগের সময় মারা গেছেন।
জাতির আশা করে, দল মত নির্বশেষে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা উচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতিকে কলংকমুক্ত করে নিঁখুত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিনত হবে।