চট্টগ্রাম: কঠোর পুলিশি প্রহরায় যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বাড়ির উঠানে তার জানাজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ‘বাইতুল বিল্লাল’ এর উঠানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সাকা চৌধুরীর মরদেহবাহী গাড়িটি বর্তমানে ভাটিয়ারী-হাটহাজারী লিংক রোড ধরে এগিয়ে আসছে। গহিরায় পৌঁছাতে আরও আধঘণ্টার মতো লাগবে বলে জানান এএসপি মুস্তাফিজুর।
এর আগে গহিরা এওয়াইজেডএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা আয়োজনের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান সাকার চাচাতো ভাই ফেরদৌস কাদের চৌধুরী।
কিন্তু নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সাকা পরিবারের উঠানে জানাজা আয়োজনের অনুমিত দেয়।
এএসপি মুস্তাফিজ বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে বাড়ির উঠানেই জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সাকার দাফনকে কেন্দ্র করে রাউজানের গহিরা ও আশপাশের এলাকায় শনিবার রাতে ১০ প্লাটুন পুলিশ ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
রোববার সকালে আরও ১০ প্লাটুন পুলিশ ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এর আগে ভোর রাতে সাকার রাউজান পৌর এলাকার গহিরায় সাকার পারিবারিক নতুন কবরস্থানে কবর খোঁড়া হয়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন সাকা। তবে সর্বোচ্চ সাজার প্রেক্ষিতে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৮ নভেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান সাকা। কিন্তু ক্ষমা পাননি তিনি। যদিও কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে ছেলে হুম্মাম বলেছেন, তার বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি।
এদিকে সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে আরেকটি দায়মুক্তির ইতিহাস রচিত হলো। তার আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।