প্রস্তুত ফাঁসির মঞ্চ। একাত্তরের শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করার আরেকটি উপলক্ষ সামনেই। শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর গলায় ফাঁসির রশি ঝুলিয়ে কলঙ্কমুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশ। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আট ফুট দৈর্ঘ্য আর সাড়ে চার ফুট প্রস্থের ফাঁসির মঞ্চ ধোয়ামোছার কাজও চলছে। ডাকা হয়েছে জল্লাদ। একাত্তরে স্বজন-হারানোর বেদনায় বিদ্ধ ৪৪ বছরের রক্তক্ষরণ কিছুটা হলেও প্রশমন হবে। সেই প্রতীক্ষায় গোটা জাতি। ওরা একাত্তরে হত্যা করেছে মুক্তিযোদ্ধা, লেখক-বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে। স্বাধীন বাংলাদেশেও লাল-সবুজের পতাকাকে লক্ষ্য করে বারবার দম্ভোক্তি করেছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের শিরোমণি সাকা-মুজাহিদ। গতকাল ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পতন হলো সেই দম্ভের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ ও সংসদের বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সাজা হবেই। দেশি-বিদেশি কোনো শক্তিই তা প্রতিহত করতে পারবে না।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায়
এতদসংক্রান্ত আদেশ দেন। দু’জনের ক্ষেত্রেই প্রধান বিচারপতি শুধু একটি শব্দ উচ্চারণ করেন_ ‘ডিস্মিস্ড’। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ রায়ের পর শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না। এখন শুধু সাকা ও মুজাহিদের সামনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার একটিমাত্র সুযোগ রয়েছে। নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে তারা প্রাণভিক্ষা না চাইলে যে কোনো সময় দণ্ড কার্যকর করা যাবে। এই প্রথম বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর ফাঁসির চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হলো।
রিভিউ খারিজের আদেশের কপিতে গতকাল পর্যন্ত স্বাক্ষর হয়নি। রিভিউ আবেদন খারিজের আদেশ লেখা হচ্ছে। ‘দ্রুততম সময়ে’ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে। এক-দুই কর্মদিবসের মধ্যে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক কর্মকর্তা। এরপর সেটি যাবে কারাগারে। সাকা ও মুজাহিদ এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে রায় ঘোষণার পর গতকাল ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সরকারি নির্দেশে বন্ধ করা হয়। কিছুক্ষণ ইন্টারনেটও বন্ধ থাকে। এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের জানান, জনস্বার্থে এটি বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে, রিভিউ আবেদন খারিজের পরপরই শাহবাগে আনন্দ মিছিল বের করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। আওয়ামী লীগ কর্মীরা গুলিস্তান এলাকায় আনন্দ মিছিল করেন। এ ছাড়া সারাদেশেই বিভিন্ন জেলায় বের হয় আনন্দ মিছিল। গতকাল দুপুর থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রাজধানীসহ সারাদেশে সতর্ক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রাজধানী ছাড়াও দেশের সব জেলায় বিজিবি সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই সাকা ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ফাঁসির মঞ্চ ও জল্লাদ। গত ১৫ নভেম্বর কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে সাকা চৌধুরীকে গাজীপুরের কাশিমপুর ১ নম্বর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত। তবে সাকার রিভিউ আবেদন খারিজের পর এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিএনপি। গতকাল আদালত এলাকায় মুজাহিদের ছেলেকে দেখা গেলেও সাকা চৌধুরীর পরিবারের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তার ছেলে। গতকাল রাতে কারারক্ষীদের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিকভাবে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল থাকার কথা জানেন দুই যুদ্ধাপরাধী।
রাতে গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরে সাত দিন নয়, আরও আগে সম্ভব। এরই মধ্যে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে জেল কোড অনুযায়ী প্রাণভিক্ষার জন্য সাত দিন অপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বিশ্বের আর কোথাও এমন স্বচ্ছতা রেখে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়নি।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, রিভিউ আবেদন খারিজের পর এখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের রায় কার্যকরে কোনো আইনগত বাধা নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রায় কার্যকর হবে। যেহেতু রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে গেছে, তাই আদেশও খুব শিগগির পাওয়া যাবে। এর পর দুই আসামিকে রায় জানানো হবে। আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। তারা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রায় কার্যকর করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। সরকার তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হবে কি-না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দলটির বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। আদালতের মাধ্যমেই সবকিছু ফয়সালা হবে।’
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সমকালকে বলেন, রায়ের অনুলিপি এখনও কারা কর্তৃপক্ষ পায়নি। সেটি পাওয়ার পর কারাবিধি অনুযায়ী তাদের পড়ে শোনানো হবে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে।
রায়ের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, রায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সবাই সন্তুষ্ট। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ রায় কার্যকর করতে হবে। অপর প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, সাকা-মুজাহিদ রায় বাতিলে নানা রকম কূটকৌশল চালিয়েছিল। সত্যের জয় হয়েছে; ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মানবজাতির জন্য একটা উদাহরণ।
সাকা-মুজাহিদের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে তার দায়িত্ব আসামিকে আদালতে নিরপরাধ হিসেবে প্রমাণ করা। তিনি সেই লড়াই করেছেন এবং হেরে গেছেন। এখন আইনগত আর কোনো প্রক্রিয়া নেই। সরকার চাইলে দ াদেশ মওকুফ করে দিতে পারে অথবা কমাতে পারে। আর ন্যায়বিচারের জন্য আসামিরা সর্বশেষ আল্লাহর দরবারেই ফরিয়াদ জানাতে পারেন।
মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর সমকালকে বলেন, আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ রায়ে আমরা হতাশ ও বিস্মিত। আমার বাবা বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বাবার সঙ্গে দেখা করে চূড়ান্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার বিষয়টি এবং প্রাণভিক্ষা চাওয়া-না চাওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে চাই। মুজাহিদের ভাই মোহাম্মদ খালেছ বলেন, মুজাহিদ অপরাধ করেনি। তাই মুজাহিদ ক্ষমাও চাইবে না।
‘ডিস্মিস্ড’ :বুধবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট। কানায় কানায় পূর্ণ এজলাসকক্ষে পিনপতন নীরবতা। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ এজলাসে বসে আদেশে বলেন_ ‘ডিস্মিস্ড’। এর মধ্য দিয়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের করা রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বহাল থাকে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড। রিভিউ খারিজের মধ্য দিয়ে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের দায়ে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতে হচ্ছে।
সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গতকাল বুধবার আবেদন দুটি নিষ্পত্তি করেন। রিভিউ আবেদন খারিজের মাধ্যমে দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ‘গলা বাঁচানোর’ চূড়ান্ত আইনি লড়াই শেষ হলো।
সকাল সোয়া ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাকা চৌধুরীর পক্ষে এবং আগের দিন মঙ্গলবার মুজাহিদের পক্ষে দুই ঘণ্টা শুনানি করেন তাদের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রিভিউর বিরোধিতা করে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গতকাল আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন খারিজের পরপরই শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আনন্দ মিছিলে সাকা চৌধুরীর মামলার সাক্ষী, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতি সংগঠক, কবি-সাহিত্যিক, সর্বস্তরের পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এর পর মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেন তারা। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার এ দুই যুদ্ধাপরাধীর রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন। মুজাহিদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছে ফরিদপুরবাসী। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় মুজাহিদের জন্মস্থান ফরিদপুর জেলা শহরে আনন্দ মিছিল বের হয় এবং মিষ্টি বিতরণ করেন সর্বস্তরের মানুষ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘অপরাধ করে কেউ কখনও পার পায় না; দেরিতে হলেও বিচার হবেই।’
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আপিলের পর চলতি বছর ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যা ও অপহরণের দায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আপিলের পর চলতি বছর ১৬ জুন আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এর পর তারা উভয়ই সাজা বাতিল চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন। গতকাল তাদের আবেদন দুটি নিষ্পত্তি করেন সর্বোচ্চ আদালত। ইতিপূর্বে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়।
কঠোর নিরাপত্তাবলয় :গতকাল দুপুরে নাজিমুদ্দীন রোডে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা। পুলিশ, র্যাব ও কারারক্ষীরা সতর্ক পাহারায়। কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে ও আশপাশে ফুটপাতের সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল দিচ্ছিলেন বিজিবির সদস্যরা। এ ছাড়া আপিল বিভাগে সাকা চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় গতকাল সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন ছিল। আপিল বিভাগে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ে বসানো হয়। আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় অবস্থান নেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।