বাংলাদেশ ও ভারত সন্ত্রাস দমনে তথ্য আদান প্রদান এবং উভয় দেশে আটক বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। এছাড়া সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে উভয় দেশ একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয় এবং তা বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্য এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব মেহর্ষীর নেতৃতে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধে উভয় দেশের নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমানায় নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলার মতো দুই দেশের নাগরিকদের আরো জ্ঞান অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের নাগরিকরাই অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয় না, ভারতের নাগরিকরাও একইভাবে আসে। গত বছর তাদের আটজন নাগরিক মারা গেছে।’
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা ভারতকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি তাদের সংগঠিত কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ এদেশের মাটিতে নেই।’
তিনি বলেন, ‘লুকিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সন্ধান ভারতের কাছে নেই। তবে সন্ধান পেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয় বৈঠকে।’
সচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে সচিব পর্যায়ের এটি ১৭তম বৈঠক। অতীতের অন্যান্য বৈঠকের চেয়ে এটি সফল ও সন্তোষজনকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য সফল বলব, কারণ এ বছর ১৯৭৪ সালের সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের সচিব পর্যায়ে দু’দিনব্যাপী বৈঠকের প্রথম দিন সোমবার দুপুরে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনার জন্য বিভিন্ন এজেন্ডা নির্বাচন করা হয়।