মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নিম্ন-মাধ্যমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন ইউনেস্কোর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীকে তার বাসভবনে গিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন, সিলেট বিভাগ জনস্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাজিউল ইসলাম তালুকদার রাজু, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পেশাজীবী সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এইচ. খান আজমল, শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকসহ প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে এমপিওভুক্তির ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. এশারত আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডু, সহ-সভাপতি শরীফুজ্জামান আগা খান, অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যক্ষ এনামুল হক পাঠান, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেলোয়ারা খানম প্রমুখ।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা তিন সপ্তাহ ধরে দিনরাত প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাতে পড়ে আছি; মন্ত্রী মহোদয়কে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে শিক্ষক-কর্মচারীরা ২৬-২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও ২৮-২৯ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ দিন অনশন কর্মসূচি পালন কালে শিক্ষক-কর্মচারীরা অসুস্থ হলে নাগরিক সমাজের অনুরোধে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। কিন্তু অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এর আগে ১৭তম দিনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ এবং ১৮তম দিনে শূন্য থালা হাতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। গত ২৬-২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও ২৮-২৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ দিন অনশন পালন করেন।