দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। শীতে সাধারণত রোগবালাই কম দেখা দিলেও অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে কিছু শারীরিক সমস্যার দেখা দিতে পারে। কিছু জিনিস মেনে চললে শীতকাল উপভোগ করা যাবে একেবারে মনের মত করে। দেখা নেয়া যাক কিভাবে শীতকাল উপভোগ করবো-
-আমাদের শরীরের সমস্ত হিট কিন্তু মাথা দিয়ে বেরিয়ে যায় না। সেই হিট গুলো হাতের মাধ্যমেও বেড়িয়ে যায়। তাই শরীর ভালো রাখতে অবশ্যই হাতে গ্লাভস পড়ে বেরনো উচিত।
-শীতকাল মানেই যেন ভাববেন না সূর্য নেই। এই কালে সূর্য পৃথিবীর অনেকটা কাছে চলে আসে। তাই সব সময় সান’স ক্রিম মেখে বাইরে বের হবেন।
-ছোট থেকেই আমরা শুনে আসি ঠান্ডাতে বেরলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে। কিন্তু এই কথা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ঠান্ডাতে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অনেক বেড়ে যায়। যাতে শরীর খারাপ হওয়ার চান্স অনেক কম থাকে।
-শীতে ত্বকের উপরিভাগ কালো হয়ে যায়। এর কারণ হল ত্বকের মরা কোষ। এ মরা কোষ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন স্ক্রাব করা উচিত।
-মুখ, হাত, পা, মাথা, চুল সব কিছুরই যত্ন নেয়ার পাশাপাশি দেহের ত্বকের যত্ন নেয়া অনেক জরুরি। বাথ সল্ট শরীরের ত্বকের জন্য বেশ ভালো। বাথ সল্ট দেহের ত্বকের জন্য স্ক্রাবের কাজ করে। এতে শরীরের মরা কোষ দূর হয় এবং দেহের ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার হয়। গোসলের সময় বাথ সল্ট ব্যবহার করুন।
-স্ক্রাবিংয়ের পর দেহের ত্বকের কোমলতা রক্ষায় গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন মধু। ১ বালতি পানিতে ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে সে পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলুন। এতে দেহের ত্বক থাকবে কোমল ও মসৃণ। গোসল শেষে ত্বকে লোশন লাগাতে ভুলবেন না।
-সারা দিন রোদ ও ধুলো-ময়লায় হাত এবং পায়ের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু খুব সহজেই দিন শেষে রাতের বেলা মাত্র ২০ মিনিট ব্যয় করে হাত ও পায়ে ফিরিয়ে আনতে পারেন হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা।
-শীতকালে মাথার ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি ওঠে ও খুশকির সমস্যা দেখা যায়। লেবুর রস এ সমস্যার সমাধান করবে। লেবুর রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান খুশকি থেকে মাথার ত্বককে দূরে রাখে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেক হারবাল উপাদানেই লেবুর রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি ঘরে বসেই প্রাকৃতিকভাবে লেবুর রসের মাধ্যমে মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে পারেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য। সূত্র: জি-নিউজ