প্রায় একই সময়ে প্যারিস শহরের কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ১৪০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্যারিস সিটি হলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শহরের মাঝামাঝি বাটাক্লঁ কনসার্ট হলেই অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হামলাকারীরা সেখানে শতাধিক মানুষকে আটক করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিম্মি সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসান ঘটায়।
অন্য হামলাগুলো হয়েছে স্তাদে দে ফ্রান্স এবং কয়েকটি বার ও রেস্তোরাঁয়। এর মধ্যে স্টেডিয়ামের কাছের ঘটনাটি আত্মঘাতি বোমা হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই স্টেডিয়ামে তখন জার্মানি বনাম ফ্রান্স ফুটবল ম্যাচ চলছিল, খেলা দেখতে গিয়েছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি এশীয় রেস্তোরাঁর সামনে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায় একজন বন্দুকধারী। সেখানে অন্তত দশজনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।ওলাঁদ এ ঘটনাকে বর্ণনা করেছেন ‘নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে। প্যারিসের বাসিন্দাদের যার যার বাড়িতে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে; শহরে নামানো হয়েছে সেনা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্সের পাশে থাকার কথা বলেছে নেটো।
ফ্রান্সকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “নিরপরাধ বেসামরিক জনগণকে সন্ত্রস্ত করার আরেকটি ভয়ঙ্কর চেষ্টা আমরা দেখলাম।”প্যারিসে হামলার এই ভয়াবহতায় ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক টুইটে বলেছেন, “আমরা ফ্রান্সের মানুষের পাশে আছি। তাদের সাহায্যে যতটা সম্ভব, আমরা তা করব।”