জাতীয় সংসদ থেকে: বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলররা যদি সরকারি দলের না হয়, তবে তাদের মামলা-মোকদ্দমায় ঢুকিয়ে ঢালাওভাবে বরখাস্ত করা হয় বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ সেলিম। কেউ যদি দল থেকে বাইরে বেরিয়ে কিছু করতে চায় তাদের ক্ষেত্রেও এরকম আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ তার।
মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে এ অভিযোগ তোলেন হাজী সেলিম। এ বিষয়টার আসলে কোনো যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে কি না- তাও জানতে চান তিনি।
হাজী সেলিমের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আপনি ফ্ল্যাট একটা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ গুরুতর, তবে তা ঢালাওভাবে কাউকে করা হয় না। ইলেকশন জিতলেই বিরোধীদলের কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মামলা হলে যদি সেখানে চার্জশিট দাখিল করা হয়, তবেই তাদের বরখাস্ত করা হয়।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এছাড়া কারও বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্টভাবে অর্থ অপচয়ের অভিযোগ থাকে এবং তা প্রমাণিত হলে তাদের বরখাস্ত করা হয়। ঢালাওভাবে বরখাস্ত করা হয়, কথাটি সঠিক নয়।’
পৌরসভা নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে হলে এ ধরনের সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে বলে নতুন এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান হাজী সেলিম।