মেধাস্বত্ত্বে ছাড় পাওয়ায় উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে হবে না

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

wto_824658249

 

 

 

 

ঢাকা: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘ সময়ের জন্য ওষুধ শিল্পে মেধাস্বত্ত্বে ছাড় পেয়েছে।

রোববার (০৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এই সুবিধা প্রাপ্তির ফলে উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ৬ নভেম্বর জেনেভায় ডব্লিউটিও’র সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ট্রিপস (ট্রেড রিলেটেড অ্যাস্পেক্টস অব ইন্টেলেক্টুয়াল প্রোপার্টি রাইটস) কাউন্সিলের সভায় ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধ শিল্পে মেধাস্বত্ত্বে ছাড় পায় বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এই ছাড় পাওয়ার ফলে দেশের ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও রপ্তানি বাজার হারানোর যে ঝুঁকি ছিল তা কেটে গেল। এই সুবিধা না পেলে আগামী জানুয়ারি থেকে এক টাকার ওষুধ হাজার টাকায় কিনতে হতো বলে জানান তিনি। মেধাসত্ত্ব ছাড় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন বলেও জানান নাজমুল হাসান পাপন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এলডিসি না থাকলেও জিএসপি প্লাস সুবিধা নেওয়ার জন্য কাজ করছি, যা অনেক দেশই পায়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতিতে কেউ বাধা দিতে পারবে না, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। অনেকে এই অগ্রগতিকে হিংসাত্মক দৃষ্টিতে দেখছে বলেও তিনি জানান।

গার্মেন্টস শিল্পের পর আগামী তিন বছরে ওষুধ শিল্প প্রধান রপ্তানি পণ্য হিসেবে পরিগণিত হবে বলে জানান ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি পাপন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ আগামী ২/৩  বছরের মধ্যে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এনথ্রাইটিসসহ বেশ কিছু রোগের ওষুধ বিনামূল্যেই দিতে পারবে। যা অন্য দেশে রপ্তানি করলে হয়তো অনেক টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *