গতবছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আসমার টিউমার অপসারণ করা হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
তার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মায়ের ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়। এরপর ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুতে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বিকালে আসরের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে আসমা কিবরিয়ার জানাজা হবে। আর মাগরিবের পর বনানী কবরস্থানে আবার জানাজার পর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
১৯৮১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেম তিনসুলানোন্ডের সঙ্গে শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ও আসমা কিবরিয়া। ছবি: রেজা কিবরিয়ার ফেইসবুক থেকে
স্বামীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছেলে রেজা ও মেয়ে নাজলীর সঙ্গে আসমা কিবরিয়া
১৯৩৭ সালে জন্ম নেওয়া আসমা চিত্রকলা নিয়ে লেখাপড়া করেন নিউ ইয়র্কের উন আর্ট স্কুল ও ওয়াশিংটনের কোরকোরান স্কুলে।ওয়াশিংটনে সমসাময়িক মার্কিন শিল্পীদের সঙ্গে কাজের সূত্র ধরে বিমূর্ত ধারার চিত্রকলায় প্রভাবিত হন তিনি। তার কাজ নিয়ে ব্যাংককসহ বিভিন্ন শহরে এ পর্যন্ত দশটি একক প্রদর্শনী হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভা শেষে ফেরার সময় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া।
কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশের প্রথম দিকের দেওযা তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি ছিল আসমার।
কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রেও ‘আসল অপরাধীদের’ আড়াল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল তার।
স্বামীর হত্যার বিচারের দাবিতে ‘শান্তির জন্যে নীলিমা’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন আসমা কিবরিয়া। ২০০৭-০৮ সময়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ওই কর্মসূচি চালিয়ে নিতে বাধা দেওয়া হয় বলেও তার অভিযোগ ছিল।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও আসমা কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া একজন অর্থনীতিবিদ। আর তাদের মেয়ে নাজলী কিবরিয়া বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক।