ঢাকা: ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জ। প্রস্তুতি ম্যাটে ২৭৭ রান তাড়া করে জয়ের তরতাজা স্মৃতি নিয়ে অবশ্য ব্যাট করতে নেমেছে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা। যদিও শুরুতে চাপে রয়েছে তারা। স্বাগতিক দুই বোলার মুস্তাফিজুর রহমান আর আরাফাত সানির বলে উইকেট ধরে রাখতে পারলেও রান তোলার গতি বেশ মন্থর।
মুস্তাফিজের স্লোয়ার আর কাটারের সামনে বার বার পরাস্ত হতে দেখা যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার লুক জংউই এবং চামু চিভাবাকে। তবে মুস্তাফিজ দারুন একটি সুযোগ মিস করেন খেলার পঞ্চম এবং নিজের তৃতীয় ওভারে। জংউই রিটার্ন ক্যাচ দেন তাকে; কিন্তু সেই ক্যাচ আর হাতে জমাতে পারলেন না তিনি। আবার আরাফাত সানির ঘূর্ণি বলেও বেশ অস্বস্তিতে ব্যাট করতে হচ্ছে তাদের। তবে উইকেট কামড়ে থাকার পন করেই যেন তারা ব্যাট করে যাচ্ছে।
মুস্তাফিজকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করলেও দ্বিতীয় ওভারেই অপরপ্রান্তে স্পিনার নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। বল তুলে দেন আরাফাত সানির হাতে। সানি প্রথম ওভার মেডেনও দেন। তবুও সাফল্য পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাকে।
যদিও শুরুতে মন্থর গতিতে হলেও, ধীরে ধীরে রান বাড়িয়ে চলছে সফরকারীরা। তবে, সাকিব এসেই ভাঙলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলতে বাধ্য করলেন চামু চিভাবাকে। লং অনে ক্যাচ উঠলে দৌড়ে আসেন নাসির আর লিটন। শেষ মুহূর্তে নাসির সরে গেলে ক্যাচটা তালুবন্ধী করেন লিটন। জিম্বাবুয়ের ৪০ রানে পড়ল প্রথম উইকেট। ২৩ বলে ৯ রান করে ফেরেন চিভাবা।
লুক জংউইয়ের সঙ্গে জুটি বাধার জন্য উইকেটে নামেন ক্রেইগ আরভিন। ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচে ৯৫ রান করেছিলেন তিনি। সেই স্মৃতি তো এখনও তরতাজা। তবে ফতুল্লায় তো আর সাকিবকে খেলতে হয়নি! সুতরাং, মিরপুরে এসে সাকিবের বলে বোকা বনে গেলেন। স্কুপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে ঠিক মত শটটা খেলতে পারলেন না। মাঝ ব্যাটে লেগে ক্যাচ উঠে গেলে মিড অনে। নাসির ক্যাচটা লুফে নিলেন খুব সহজেই। ১৩ বলে ২ রান করে আউট হয়ে গেলেন ক্রেইগ আরভিন। ৪৮ রানে পড়লো জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট।
দ্রুত দুই উইকেটের পতন ঘটলেও ওপেনার লুক জংউই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন বাংলাদেশের বোলারদেও জন্য। ৫১ বলে ৩৯ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আল আমিন হোসেনের বলেই লুক জংউই প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন। আল আমিনের অফসাইডের অনেক বাইরে দিয়ে ওয়াইড লাইনে বলটি চলে যাচ্ছিল। জংউই খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে। ৫৪ রানে ঘটলো তৃতীয় উইকেটের পতন।
আবারও সাকিব শো। সাকিবের ঘূর্ণিতে আবারও বোকা বনে গেলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। এবার তার শিকার হলেন শন উইলিয়ামস। ১৮তম ওভারের শেষ বলটি (সাকিবের ৬ষ্ঠ ওভার) অনেকটাই নীচু হয়ে আসছিল। বুঝতেই পারলেন না শন উইলিয়ামস। খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে উইকেটে। ৬৫ রানে ঘটলো চতুর্থ উইকেটের পতন। উইলিয়ামস আউট হলেন ১৩ বলে ৮ রান করে। সাকিব নিলেন ৩ উইকেট।
এ রিপোর্ট লেখার সময় জিম্বাবুয়ের রান ১৮.২ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৬। উইকেটে চিগুম্বুরা রয়েছেন ৪ রানে। তার সঙ্গী সিকান্দার রাজা রয়েছেন শূন্য রানে।