ঢাকা : জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে মুফতি জাহিদ হাসান মারুফ নামে মাদরাসার এক শিক্ষককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর তারাকুজা গ্রাম থেকে ঢাকার একটি গোয়েন্দা দল তাকে আটক করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মুফতি জাহিদের বাবার নাম মুফতি হাবিবুর রহমান। জাহিদ তার বাবার প্রতিষ্ঠিত তারাকুজা দারুল কোরআন মাদরাসার সহকারী শিক্ষক।
জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে মুফতি জাহিদ হাসান মারুফ নামে মাদরাসার এক শিক্ষককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর তারাকুজা গ্রাম থেকে ঢাকার একটি গোয়েন্দা দল তাকে আটক করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মুফতি জাহিদের বাবার নাম মুফতি হাবিব উল্লাহ। জাহিদ তার বাবার প্রতিষ্ঠিত তারাকুজা দারুল কোরআন মাদরাসার সহকারী শিক্ষক।, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে মুফতি জাহিদ হাসান মারুফকে আটক করতে ৪ অক্টোবর দিনগত রাতে ফুলগাজীতে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। উপজেলার উত্তর তারাকুজা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার বিকেলে ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুদ্দিন আহম্মেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মারুফের বাবা মুফতি হাবিব উল্লাহ বাংলামেইলকে জানান, দীপন হত্যায় তার ছেলে মারুফের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য রয়েছে মর্মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তার বাড়ি ও মাদরাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে তার ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায় তারা।
আমজাদহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাংলামেইলকে জানান, বিষয়টি তিনি মারুফের বাবার কাছ থেকে শুনেছেন।
আমজাদ হাট ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু বাংলামেইলকে জানান, মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মুফতি জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুদ্দিন আহম্মেদ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। এবিষয়ে লিখিত কোনো প্রমাণ পেশ করেনি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে দুর্বৃত্তরা প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে। একইদিন হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করা হয় আরেক প্রকাশনী শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল। ওই হামলায় টুটুল ছাড়াও আরো দুজন জখন হন। এ দুই প্রকাশকই নিহত অভিজিতের কিছু বই তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশ করেছিলেন।
অভিজিৎ খুন হন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। অভিজিতের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও ছিল। অমর একুশে বই মেলায় যোগ দিতে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা এসেই প্রাণ দিতে হয় তাকে।
এছাড়া, আরো তিন ব্লগারকে প্রায় একই কায়দায় হত্যা করা হয়েছে এ বছর। তার হলেন- অনন্ত বিজয় দাশ, ওয়াশিকুর রহমান বাবু ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়। মুক্তমতে বিশ্বাসী এই ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
তবে এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোনটিতেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।