মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ৩৫০ একর জমি চায় আরপিসিএল

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

2015_11_06_12_28_50_FIVpwf2aOuMiP7fwpEhhx6Fqw92wrp_original

 

 

 

 

ঢাকা: বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে মুন্সীগঞ্জে ৩৫০ একর জমি চেয়েছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)। কয়লাভিত্তিক ৩০০ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্পের জন্য কোম্পানিটি এ জমি চেয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রসাশকের কাছে চিঠিও দিয়েছে আরপিসিএল।

সূত্র জানিয়েছে, সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরপিসিএল ২ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াটের নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও রয়েছে।  কোম্পানিটি ২০৩০ সালের মধ্যে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে চায়।

এ পরিকল্পনায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই করে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর মৌজায় ৩৫০ একর জমি নির্বাচন করেছে আরপিসিএল।

সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচিত ভূমির মধ্যে দুই দশমিক ৬৫ একর বসতবাড়ি ও বাকি ৩৪৭ একর জমিতে এক মৌসুমে চাষ হয়। প্রকল্প এলাকাটি মেঘনা নদীর পাশেই।

আরপিসিএলের ব্যবস্থপনা পরিচালক মো. আবদুস সবুর গত ৩ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসককে লেখা চিঠিতে ভূমি অধিগ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।

সূত্র আরও জানায়, চীনের এক্সিম ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় আরপিসিএল এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

আরপিসিএলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও এর অধীনস্ত  ৫ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অংশগ্রহণে এই পাবলিক কোম্পানিটি গঠিত হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে আরপিসিএল। ময়মনসিংহে ২১০ মেগাওয়াটসহ বর্তমানে মোট ২৮৫ মেগাওয়াটের তিনটি কেন্দ্র রয়েছে আরপিসিএলের।

এগুলো হলো- গাজীপুরের কড্ডায় ৫২ মেগাওয়াটের ও চট্টগ্রামের রাউজানে ২৫ মেগাওয়াটের দ্বৈত জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র। এছাড়া চীনের আর্থিক সহায়তায় গাজীপুরের কড্ডায় ১৫০ মেগাওয়াটের দ্বৈত জ্বালানির আরেকটি কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *